পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত
Published: 9th, May 2025 GMT
ভারত দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান তুরস্কের তৈরি ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অবকাঠামোর কাছাকাছি জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের শহরতলিতে এসব হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কর্নেল কুরেশি জানান, শত শত ড্রোনের গুলিবর্ষণ করেছিল - যার সবকটিই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বাধা বা নিস্ক্রিয় করা হয়েছিল। পাকিস্তানের এই হামলা বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি জানান, এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি জুড়ে অব্যাহত ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ এবং কামানের গোলাবর্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। হামলায় একজন সৈনিকসহ ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছে।।
আরো পড়ুন:
আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করেছে ভারত
ভারতের ২৫ সেনা নিহত হয়েছে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
কর্নেল কুরেশি বলেন, প্রতিশোধ হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং লাহোরে চীনা তৈরি একটি এইচকিউ-৯ সিস্টেম সহ পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে পাকিস্তানও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় এলাকাগুলোতে হামলা শুরু করে
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী
তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর।
সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক