লক্ষ্মীপুর-২ আসনের (রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সেলিনা ইসলামকে রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা রয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যা মামলা আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল, তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে পাপুল, সেলিনাসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর দুদক মামলা করেছিল।

আরও পড়ুনকুয়েতে দণ্ডিত পাপুলের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তাঁর স্ত্রী২২ নভেম্বর ২০২৩

এদিকে মানব পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় পাপুলকে। ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি তাঁকে সাজা দেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। রায়ে শহিদকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেন দেশটির আদালত। তখন থেকে কুয়েতের কারাগারে আছেন পাপুল।

আরও পড়ুনশুধু টাকার জোরেই.

..২৪ জুন ২০২০

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৭ মে রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এ সময় আদালতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন তিনি। আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত নেতা আজহারের আপিলের রায় ২৭ মে