চারদিন পর কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট চলাচল শুরু
Published: 10th, May 2025 GMT
চারদিন বন্ধ থাকার পর রাঙামাটি জেলা সদর থেকে কাপ্তাই হ্রদ হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) সকালে শহরের ফিসারী ঘাট থেকে আবারও আগের মত স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন (নৌরুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২৭ মোতাবেক স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি এবং নৌরুট ভিত্তিক যাত্রীভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। যেখানে রাঙামাটি-মারিশ্যা রুটে জনপ্রতি ৮০০ টাকা, রাঙামাটি-মাইনি রুটে জনপ্রতি ৪৫০ টাকা, রাঙামাটি জুরাছড়ি রুটে জনপ্রতি ৩২০ টাকা এবং রাঙামাটি বরকল রুটে জনপ্রতি ৩৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
স্পিডবোট মালিকপক্ষ জানায়, নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণে রাঙামাটি থেকে মাইনির দূরত্ব সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয়নি। তাদের দাবি রাঙামাটি থেকে মাইনির নৌপথে দূরত্ব কমপক্ষে ৭০ কিলোমিটার। যেখানে নতুন ভাড়া নির্ধারণে দূরত্ব বিবেচনা করা হয়েছে ৪৬.
শুক্রবার (৯ মে) রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিআইডব্লিউটিএ-এর টিআই মো. জাহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ-এর ট্রাফিক সুপার ভাইজার মো. আকবর হোসেন, স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুছসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভাড়ার হার নতুনভাবে বিবেচনার আশ্বাসে আজ (শনিবার) থেকে স্পিডবোট চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পার্বত্য স্পিডবোট মালিক সমিতির লাইনম্যান মো. মহিউদ্দিন জানান, আজ (শনিবার) সকালে আমাদের কাউন্টার থেকে মাইনির উদ্দেশ্যে স্পিডবোট ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে ৭-৮টি বোট ছেড়ে গেছে। জনপ্রতি ভাড়া আগের মত ৬৫০ টাকা রাখা হচ্ছে।
চারদিন পর স্পিডবোট চলাচল শুরু হওয়াতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। মাইনিগামী যাত্রী সুশোভন চাকমা বলেন, “গ্রীষ্মকালে হ্রদের পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে বড় লঞ্চগুলো চলাচল করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। স্পিডবোটগুলো ভালোভাবে চলাচল করতে পারে, পাশাপাশি সময়ও বাঁচে। আবার যে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে এতে আমরা খুশি। তবে ভাড়া পুর্নবিবেচনা করা যেতে পারে।”
পার্বত্য স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, “গতরাতে জেলা প্রশাসনের সভায় ভাড়া নিয়ে আবারও আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি। প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তারা ভাড়ার বিষয়টা পুনঃবিবেচনা করবেন। তাই আজ সকাল থেকে পূর্বের ভাড়ায় স্পিডবোট চলাচল শুরু করেছি আমরা।”
ঢাকা/শংকর/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করতে চায় বিআইডব্লিউটিএ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নিজস্ব মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
রবিবার (২২ জুন) বিকেলে শিমুলিয়া এলাকার ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এ তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
আরো পড়ুন:
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে সরকার: ফরিদা আখতার
বিবিসিকে অধ্যাপক ইউনূস
আওয়ামী লীগ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা এখন পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। নির্ধারিত জায়গায় পোর্ট হবে, বাকি জায়গায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির (পর্যটন কেন্দ্র) একটি পরিকল্পনা আছে। সেটি বিআইডব্লিউটিএর সহযোগীতায় স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে। বিআইডব্লিউটিএর যেহেতু কোনো ফোর্স নেই, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করবে।”
তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্ট নির্মাণে সরকারের অর্থায়নের পরিকল্পনাই বেশি। পর্যটন যেটা হবে সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চান করতে পারেন। না হলে সরকারই পুরো ব্যয় নির্বাহ করবে।”
পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুলিয়া ঘাটে হবে- নদী থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন জীব-বস্তু নিয়ে রিভার মিউজিয়াম, নদীর পাড়ে রাত্রীযাপনের জন্য ইকো রিসোর্ট, অবকাশ যাপনের জন্য সুইমিং পুল, শিশুদের উপভোগ্য কিডস জোন, শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন ইত্যাদি।
ঢাকা/রতন/মাসুদ