বন্দরে মদ পানে যুবকের মৃত্যু, বন্ধুকে গনপিটুনি
Published: 11th, May 2025 GMT
বন্দরে মদ পানে রাজিব (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গনপিটুনির শিকার হয়েছে সহযোগী বন্ধু হাসান (২৫)। মদপানে অসুস্থ রাজিব তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত রাজিব ভাটগাঁও এলাকার নুরুল হক মেম্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় নুরুল হক বাদী হয়ে শনিবার (১০ মে) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরআগে বুধবার (৭ মে) রাতে বন্দর উপজেলার মালিবাগস্থ সাবেরবাগ এলাকার সোহেল মিয়ার বাড়িতে এ মদপানের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, উপজেলার মুছাপুর ইউপি মালিবাগ সাহেবের বাগ এলাকার চিহৃিত মাদক কারবারি সোহেলের বাড়িতে গত বুধবার রাতে নিহত রাজিব ও তার বন্ধু হাসান সহ ৩/৪ জন মিলে পাশ্ববর্তী বটতলা গ্রামের সাদিয়া(২৫) নামে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে নিয়ে মদপান করছিলেন।
এসময় রাজিব অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্ধু হাসান তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে সাইনবোর্ড প্রো-একটিভ হাসপাতালে রাজিবকে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার (৯ মে) বিকালে তার মৃত হয়।
মদপানে রাজিবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বন্ধু হাসানকে বাড়ি থেকে ধরে গনপিটুনি দেয় নিহতের স্বজনরা। গনপিটুনির শিকার হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, মদপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে । এ ঘটনায় নিহতের পিতা মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মদপ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি, গ্রেপ্তার ১
বিদেশি প্রসাধনীর নামে পুরান ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারে নকল এবং ভেজাল প্রসাধনী অনলাইনে পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের পুরাতন ভাড়ালিয়ায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৯ ধরনের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন খবরের ভিত্তিতে সিআইডির একটি বিশেষ দল ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও মোড়কজাত করার সময় মো. হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৯ ধরনের ১ হাজার ৭০ প্যাকেট বিভিন্ন রকমের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী এবং ২০০টি খালি মোড়ক জব্দ করা হয়। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকার পুরাতন ভাড়ালিয়ায়। হৃদয়ের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ভেজাল প্রসাধনী ও মোড়ক উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয়ভাবে এসব বিদেশি প্রসাধনী উৎপাদিত হতো, এ বিষয়ে গ্রেপ্তার হৃদয়ের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। উৎপাদিত ভেজাল প্রসাধনী ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারের বিভিন্ন অসাধু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করত প্রতারক চক্রটি। এমনকি অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সেই ভেজাল পণ্য সস্তায় কিনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন।
উদ্ধার ভেজাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১৪০টি কেম কট থাই, ১৪০টি এল অ্যাভিনিউ হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৭০টি অর্গানিক হেয়ারফর অয়েল, ১৪০টি বডি হোয়াইটনিং ক্রিম, ১৪০টি কেম বো হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৪০টি অজুফি হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ৬০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৫০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৯০টি কোরিয়ান ফেয়ার লুক পারমান্যান্ট হোয়াইটনিং বডি লোশন। এ ছাড়া ২০০টি নিউ ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট, স্কিন বডি লোশনের মোড়ক।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হোসেন জানান, এসব প্রসাধনী বাংলাদেশে উৎপাদন বা আমদানি হয় না। চক্রের অন্য সদস্যরা বিদেশের লাগেজ পার্টির মাধ্যমে স্যাম্পল এনে তা কপি করেন এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করেন। তাঁদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব প্রসাধনী তৈরি করে তিনি লালবাগ ও চকবাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন। পরে তাঁরা বিদেশি প্রসাধনী বলে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করেন। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে পণ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন।
প্রতারক চক্রের সহযোগীদের শনাক্ত করে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।