বন্দরে মদ পানে  রাজিব (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গনপিটুনির শিকার হয়েছে সহযোগী বন্ধু হাসান (২৫)।  মদপানে অসুস্থ রাজিব তিনদিন হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত রাজিব ভাটগাঁও এলাকার নুরুল হক মেম্বারের ছেলে।  

এ ঘটনায় নুরুল হক বাদী হয়ে  শনিবার (১০ মে)  রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ  দায়ের করেন। এরআগে বুধবার (৭ মে) রাতে বন্দর উপজেলার মালিবাগস্থ সাবেরবাগ এলাকার সোহেল মিয়ার বাড়িতে  এ মদপানের ঘটনা ঘটে। 

জানাগেছে,  উপজেলার মুছাপুর ইউপি মালিবাগ সাহেবের বাগ এলাকার চিহৃিত  মাদক কারবারি সোহেলের বাড়িতে গত বুধবার রাতে  নিহত রাজিব ও তার বন্ধু হাসান সহ ৩/৪ জন মিলে পাশ্ববর্তী বটতলা গ্রামের সাদিয়া(২৫) নামে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে নিয়ে মদপান করছিলেন।

এসময় রাজিব অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্ধু হাসান তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে  সাইনবোর্ড প্রো-একটিভ হাসপাতালে রাজিবকে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন।  তিন দিন লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার (৯ মে) বিকালে তার  মৃত হয়।

মদপানে রাজিবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বন্ধু হাসানকে বাড়ি থেকে ধরে গনপিটুনি দেয়  নিহতের স্বজনরা। গনপিটুনির শিকার হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন,  মদপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে । এ ঘটনায় নিহতের পিতা মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মদপ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির পর আজ চাঙা ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজার

আজ সপ্তাহের প্রথম দিন ভারতের শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। সেনসেক্স ও নিফটি—উভয় সূচকেরই উত্থান হয়েছে। সূচকের উত্থান হয়েছে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারেও।

মূলত পাকিস্তান–ভারত যুদ্ধবিরতি ও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির খবরে আজ শেয়ার সূচকের উত্থান হচ্ছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে।

আজ ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশটির শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্সের উত্থান হয়েছে ২ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সূচকে আবার ৮০ হাজারের ঘর পেরিয়ে উঠেছে ৮১ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে। অন্যদিকে আরেক সূচক নিফটির উত্থান হয়েছে ৭০৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সূচকটি উঠেছে ২৪ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে। সেই সঙ্গে আজ বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন ১১ দশমিক ১ লাখ কোটি রুপি বেড়ে ৪২৭ দশমিক ৪৯ লাখ কোটি রুপিতে উঠেছে।

এর আগে পাকিস্তানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে গত সপ্তাহের শেষ দুই দিনে ভারতের শেয়ার সূচকের পতন হয়। দেশটির ব্রোকারেজ হাউসগুলো মনে করছে, নতুন করে ভারত-পাক সংঘাত সৃষ্টি না হলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

গত সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিন শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি—উভয় সূচকই কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন শেয়ার সূচকের পতন হয়। যদিও পাকিস্তানে প্রথম আক্রমণের পর গত বুধবার উল্টো ভারতের শেয়ার সূচকের উত্থান হয়েছিল।

কিন্তু গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারেনি বাজার। ফলে এ দুই দিনে ভারতের বাজার মূলধন কমেছে প্রায় সাত লাখ কোটি রুপি।

এর আগেও দেখা গেছে, ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময় শেয়ার সূচকের পতন হয়েছে। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় ৩ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সেনসেক্স ও নিফটির পতন হয়েছিল শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের সংসদ ভবনে হামলার সময় সেনসেক্সের পতন হয় শূন্য দশমিক ৭ আর নিফটির পতন হয় শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার দুই দিন সেনসেক্স ও নিফটির উল্টো উত্থান হয়েছে যথাক্রমে ৪০০ ও ১০০ পয়েন্ট।

এদিকে আজ সকালে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক কেএসই ১০০ সূচকের উত্থান হয়েছে ৯ শতাংশের বেশি। সূচক পৌঁছে গেছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের উত্তেজনায় দেশটির প্রধান শেয়ার সূচক কেএসই-১০০ ইনডেক্সের পতন হয়েছে ৬ হাজার ৯৩৯ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ১ শতাংশ। সূচকটি নেমে গিয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার পয়েন্টে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ