জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ তোষণের অভিযোগ তুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, এইচ এম এরশাদ (প্রয়াত) এবং জি এম কাদের গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। এর দায়ে জি এম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

রোববার দুপুরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নুরুল হক। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.

রাশেদ খান।

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটভুক্ত সব দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানান নুরুল হক। আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী ও সীমান্তপারের ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যা দিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও দলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান তিনি।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পালিয়ে যাওয়ার দায় শুধু কিশোরগঞ্জের এসপির নয়, এর পেছনে ইমিগ্রেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা থাকতে পারে। অথচ সরকার দায় চাপিয়েছে শুধু এক জেলা পুলিশ কর্মকর্তার ঘাড়ে।

কিছু উপদেষ্টা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তাঁদের সরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান নুরুল হক। তিনি বলেন, বিতর্কিত কাজ করা উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সরকারকে জাতীয় সরকারে রূপ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। গণহত্যার বিচারপূর্বক নিবন্ধনও স্থগিত বা বাতিল করতে হবে। দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করে আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এর আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল হক এম ক দ র আওয় ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ