পাবনার সদর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এ সময় আটটি ট্রাক ও চারটি স্কেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়।

রোববার রাতে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুরে অঞ্চলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

আটককৃতরা হলো- পাবনা সদরের কৃষ্টপু্র গ্রামের কালু প্রামাণিকের ছেলে জুয়েল, হেরাজ প্রামাণিকের ছেলে হৃদয়, চর চরভাঙ্গা বাড়িয়ার রাসেল বিশ্বাসের ছেলে মারুফ, বধেরহাটের সাদেক মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল, লাইব্রেরি বাজারের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে বাপ্পি, চরঘোষপুরের মুক্তার মন্ডলের ছেলে হযরত আলী, বাংলাবাজারের মৃত আকবর আলী ছেলে মক্কার প্রামাণিক, মৃত রোস্তম আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, গাছপাড়ার জাহের আলী জমির হোসেন, চক ছাতিয়ানির মৃত নূর হোসেনের ছেলে সাহাবুল ইসলাম, চাটমোহরের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে নাহিদ পারভেজ, পাবনা শহরের আটুয়া গ্রামের মৃত মানিক হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন, কাচারীপাড়ার সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে পান্না, বাংলাবাজারের সোহরাব প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল।

জানা গেছে, জেলার পদ্মার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ফসলি জমির আবাদ হয়। কৃষকরা সারাদেশে সবজির চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সেখানে কৃষকের ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়ার শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাবনা সদর উপজেলাধীন চরঘোষপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে আটটি ট্রাক, চারটি স্কেভেটর মেশিন জব্দ এবং জড়িত ১৪ জনকে আটক করে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, এনএসআই সহকারী পরিচালক, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই অঞ্চলে আজ প্রায় পাঁচ মাস ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি ও বালু কাটা হচ্ছে। সব প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয় না। এলাকায় এসে এসব অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে যায়। আবার প্রশাসন মাঝেমধ্যে এসে এদের আটকও করে।  কিন্তু দুয়েকদিনের মধ্যে জেল থেকে বের হয়ে এসে আবারও মাটি কাটা শুরু করে। এসব বালু ও মাটি কাটার সঙ্গে প্রশাসনও জড়িত। মাঝেমধ্যে দায়সারা অভিযান চালানো হয়। স্থায়ীভাবে ফসলি জমি থেকে বালু ও মাটি কাটা বন্ধের দাবি করেন তারা।

পাবনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী চরঘোষপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে উত্তোলন করে আসছিল। যার ফলে উক্ত এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং আশেপাশের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও সম্প্রতি মাটিকাটা ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান করে ১৪ জনকে আটক করে জেল দেওয়া হয়েছে। অবৈধ বালু ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন আটক

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ৩ 

লক্ষ্মীপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তিন যুবককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির হোসেন মেম্বারের ছেলে আহম্মদ আল মারুফ রবিন (৩৪), আহম্মদ আল আরেফিন রিমন (২৯) ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর গ্রামের তোফায়েল আহম্মদের ছেলে এহসান আহম্মেদ (২৪)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র। অস্ত্র ও ইয়াবাসহ কয়েকজন যুবক পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এই খবরে সেখানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেখান থেকে তারা আহম্মদ আল মারুফ রবিন, আহম্মদ আল আরেফিন রিমন ও এহসান আহমেদকে আটক করেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন, ইয়াবা ও নগদ টাকা জব্দ হয়। 

আরো পড়ুন:

কবুতর চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ২

লক্ষ্মীপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খাঁন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে আটককৃতদের কাছ থেকে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা, নগদ টাকা ও ইয়াবা জব্দ হয়। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দু মোন্নাফ বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে বিভিন্ন অপরাধে ২ নারীসহ আটক ৮  
  • লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ৩