শিল্পী সমিতি নিয়ে অমিত হাসানের বিস্ফোরক মন্তব্য
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক ও খলনায়ক অমিত হাসান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দুই চরিত্রেই দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। সেই সমিতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অমিত হাসান।
সোমবার (১২ মে) ফেসবুক স্ট্যাটাসে অমিত হাসান লেখেন, “শিল্পী সমিতি আছে কিন্তু শিল্পী নাই।” তার এই পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেক সিনিয়র তারকা। ওমর সানী মন্তব্যের ঘরে লেখেন, “একদম সত্যি, ভালো বলছিস।”
গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত হাসান বলেন, “সিনিয়র শিল্পীরা এখন অবহেলিত। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবছে না, আমাদের জন্য গল্প লেখা হচ্ছে না। আমি, রুবেল, ওমর সানী, আমিন খান, বাপ্পারাজ— কোনো সিনেমায় নেই। এমনকি আমাদের জুনিয়ররাও বেকার হয়ে গেছে। বাপ্পি চৌধুরী, সায়মন সাদিকরাও কাজ পাচ্ছে না। তাহলে এই শিল্পী সমিতিতে যাবে কে? এফডিসিতে শুটিং থাকলে শিল্পীরা আসবেন সমিতিতে। এখন সেটাও নেই।”
আরো পড়ুন:
নায়ক থেকে খলনায়ক, জাসাস থেকে দূরে: মিশার স্বীকারোক্তি
চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা
বর্তমান নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এখন গ্রহণযোগ্য কোনো নেতৃত্ব নেই। সভাপতি মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক ডিপজল— দুজনই মাসের পর মাস দেশের বাইরে। এভাবে তো কোনো সংগঠন চলতে পারে না।”
পুরোনো দিনের উদাহরণ টেনে অমিতাভ হাসান বলেন, “রাজ্জাক, আলমগীর, মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, মাহমুদ কলির মতো গুণী শিল্পীরা যখন নেতৃত্বে ছিলেন, তখন শিল্পীরা আসতেন, দেখা করতেন, আড্ডা দিতেন। শুটিংয়ের ফাঁকে খোঁজ নিতেন, সমিতিতে কে আছে। এখন এসব কিছুই নেই। এফডিসির শিল্পী সমিতি আজ প্রাণহীন।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারণ ছাড়াই বাড়ছে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারদর
কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই কোম্পানিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে।
এর আগে শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিকে চিঠি পাঠায় ডিএসই। সেই সময়েও কোম্পানিটির পক্ষ থেকেই একই জবাব দেওয়া হয়।
গত ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিলো ১৫০.৪০ টাকা টাকা। আর ১১ আগস্ট (সোমবার) কোম্পানিটির শেয়ারটির দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১.৩০ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫০.৯০ টাকা বা ৩৩.৮৪।
এভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/এনটি/ইভা