এক কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল কিনছে সরকার
Published: 13th, May 2025 GMT
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করার জন্য প্রতি লিটার ১৬১ টাকা দরে পরিশোধিত রাইস ব্রান বা কুঁড়ার তেল কেনা হচ্ছে। এ দফায় স্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার তেল। এই তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উন্মুক্ত দর পদ্ধতিতে ডাকা এ তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এ তেল বিক্রি করা হবে। এ জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ৪টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। প্রতিটি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপন্সিভ হয়।
জানা গেছে, মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেড ৫০ লাখ লিটার, তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ লাখ লিটার, প্রধান অয়েল মিলস ২০ লাখ লিটার এবং গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান বা কুঁড়ার তেল সরবরাহ করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ