নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান
Published: 14th, May 2025 GMT
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর আদালতের রায়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ।
বুধবার (১৪ মে) নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান এ রায় দেন। আদালত চেয়ারম্যান হিসেবে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে অংশ নেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। স্থানীয় ফলাফলে তিনি জয়লাভ করলেও উপজেলায় ফলাফলের কাগজপত্র টেম্পারিং করে ফল পাল্টে দিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
শিল্পী সমিতি নিয়ে অমিত হাসানের বিস্ফোরক মন্তব্য
নায়ক থেকে খলনায়ক, জাসাস থেকে দূরে: মিশার স্বীকারোক্তি
অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে ৩ বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পারিং করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করে। অথচ ফলাফলে স্পষ্ট আমি জয়ী ছিলাম।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে আমাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি।’’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানান।
ঢাকা/সুজন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে ইসলামি শক্তিগুলোর ঐক্য সময়ের দাবি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
ইসলামি শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হলে দেশ, ইসলাম ও স্বাধীনতা—তিনটিই বিপন্ন হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনে দেশটির অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
ঢাকার সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল এখন শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, ইরানেও সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) সবাই নিষ্ক্রিয়। এ অবস্থায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট ছাড়া মুসলমানদের রক্ষার আর কোনো পথ নেই।
জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান সাহসিকতা ও ন্যায্য প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, অন্যায়ের জবাব একমাত্র প্রতিরোধের মাধ্যমেই সম্ভব।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়ে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় শাহবাগপন্থী নাস্তিক্যবাদী দর্শনের প্রতিফলন চলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ নোমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আল আবীদ শাকির, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব বক্তব্য দেন।
পরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন।