ইন্টারনেটের দাম না কমালে মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জহিরুল ইসলাম।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, “বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। অনেকেই পার্টিসিপেট করেছেন। যারা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাদের পার্টিসিপেট করা উচিত। যদি তারা কোঅপারেট না করে, তাদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাগুলো রয়েছে, তা আলোচনার টেবিলে আনা হবে। সেখানে আনসেটেল ডিউ (অমীমাংসিত বকেয়া পাওনা) আছে, সেই আলোচনাগুলো আলোচনার টেবিলে চলে আসবে। কঠোরভাবে কেপিআই পরিপালনের বিষয়টিও আলোচনার টেবিলে আসবে।”

তিনি জানান, নতুন টেলিকম আইন দ্রুত সময়ে চূড়ান্ত হতে পারে। ব্রন্ডব্যান্ড ও এনটিটিএন’র দাম আগামী জুলাই থেকে কমতে পারে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ১ জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর পথে বুক বিল্ডিং বাধা দূর করা হবে। দাম না কমালে সেবার মান, বকেয়া পাওনা ও প্রদত্ত সুবিধা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে। স্যাটেলাইট কোম্পানিতে নতুন ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়ার চিন্তা আছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ আহমদ

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ ছুটিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার

হঠাৎ করেই ছুটিতে গেলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। গত ১১ মে সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ওইদিনই এক চিঠিতে তার ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের মুখপাত্র ফাসিউল্লাহ সমকালকে জানায়, সৈয়দ আহমদ মারুফ দাপ্তরিক প্রয়োজনে পাকিস্তান গিয়েছেন।

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে জানায়, সৈয়দ আহমদ মারুফের পাকিস্তান যাওয়ার চিঠিতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঢাকা ছাড়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি কবে ফেরত আসবেন তা চিঠিতে জানানো হয়নি। মৌখিকভাবে জানতে চাইলে মিশন থেকে দুই সপ্তাহের কথা বলা হয়েছে।

সাধারণত একজন রাষ্ট্রদূত কোনো দেশে দায়িত্ব পালনের সময় ছুটিতে গেলে স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত কতদিন ছুটিতে থাকবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে কে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন; সেটিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হয়।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সৈয়দ আহমদ মারুফ ১১ই মে থেকে ছুটিতে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশের বাইরে থাকার সময়টাতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনার মুহাম্মদ আসিফ।

উল্লেখ্য, সৈয়দ আহমদ মারুফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে কাজ শুরু করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার কঠোর হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • সুনামগঞ্জে আ. লীগ যুবলীগের ৬ নেতা কারাগারে
  • টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ, কাল শোক
  • নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান 
  • নানকের স্ত্রী-কন্যাসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • সাম্যের মৃত্যুতে মর্মাহত ঢাবি প্রশাসন  
  • ঢাবিতে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু
  • ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩ শতাংশ
  • হঠাৎ ছুটিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার