Prothomalo:
2025-10-03@07:04:19 GMT

হাসপাতালে হয়রানি

Published: 17th, May 2025 GMT

সরকারি হাসপাতালের নাম শুনলেই মাথায় আসে দালাল আর হয়রানির কথা। রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি সরকারি হাসপাতালগুলোতে যেন অতি পরিচিত ঘটনা।

হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে না করতেই শুরু হয় দালালদের উৎপাত। নানান কৌশলে মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় আশপাশের কোনো নিম্নমানের প্রাইভেট হাসপাতালে। টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ানোর পর ঘুষ দিয়ে পেছনের লোক আগে সাক্ষাতের সুযোগ পায় আর ঘুষ না দিলে দীর্ঘ সময় প্রতীক্ষা করতে হয় চিকিৎসকের সাক্ষাতের জন্য।

এ ছাড়া দায়িত্বরত ওয়ার্ড বয়, আনসারসহ বিভিন্ন লোক রোগীর আত্মীয় স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করে। চিকিৎসকের লিখে দেওয়ার পরও রোগীর সিট পাওয়ার জন্য এবং হাসপাতালের ট্রলি ব্যবহারের জন্য এমনকি প্রায় প্রতিবারই সিরিয়ালে দাঁড়ানোর সময় টাকা দিতে হয়।

অপারেশন থিয়েটারের সিরিয়ালেও একই অবস্থা। অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীকে বের করার সময়ও টাকা দাবি করা হয়। আনসার সদস্যরা এসে চুক্তি করে আগে টাকা দিলে আগে সিরিয়াল দেওয়া হবে। ড্রেসিং করানোর সময়ও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যও নির্ধারিত সরকারি ফি এর বাইরে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয়।

ঢাকার হাসপাতালগুলোতে হয়রানির পরিমাণ অধিক। বিশেষ করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। স্টাফদের সুযোগ দেওয়ার নামে টাকা দিয়ে অন্য লোকদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেবাগ্রহিতাদের হয়রানি নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি সুবিবেচনার জন্য এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি হাসাপাতালের সেবার মান বৃদ্ধির অনুরোধ জানাচ্ছি।

আজিজুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য হয়র ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে

যশোরের শার্শা উপজেলায় সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো ভারতীয় নাগরিক মৃত বাবাকে দেখেছেন বাংলাদেশে থাকা তাঁর মেয়ে ও স্বজনেরা। আজ বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ শেষবারের মতো বাংলাদেশি স্বজনদের দেখানো হয়।

মৃত ব্যক্তির নাম জব্বার মণ্ডল (৭৫)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। জব্বার মণ্ডলের মেয়ে রিতু মণ্ডল ও তাঁর স্বজনেরা যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গ্রামে বসবাস করেন। বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর পর কলকাতার উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যের কারণে গত মঙ্গলবার জব্বার মণ্ডলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্বজনেরা শেষবারের মতো মরদেহ দেখতে আবেদন করেন। বিষয়টি বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বুধবার দুপুরে শার্শা সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর স্বজনদের দেখানো হয়। পরে মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে দাফন করা হয়।

কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো. সেলিম মিয়া ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসি সঞ্জয় কুমার রায়। এ বিষয়ে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (৪৯ বিজিবি) সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তের কোনো মানুষ মারা গেলে দুই দেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজন থাকলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শেষবারের মতো মরদেহ দেখানোর রীতি আছে। সেই অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর মেয়েসহ স্বজনদের দেখানো হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সর্বদা সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ও আলোচনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে