দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো তিন জন। 

সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন,  মাই‌ক্রোবাসচালক আরিফুল ইসলাম মা‌নিক। অপরজনের নাম দেলোয়ার।

আরো পড়ুন:

ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৩

নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুল গফুর জানান, সকালে বীরগঞ্জ উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় একটি ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ  হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজন মারা যান। আহত হন তিন জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ দিনে ৪১ শিক্ষার্থী অসুস্থ

পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনে ৪১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৩৫ জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েন। এর আগে, রবিবার (১৮ মে) ছয়জন শিক্ষার্থী অচেতন হন। 

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা সুলতানা নিলা বলেন, “ভ্যাপসা গরম অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা অচেতন হতে পারে।”

অচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মাইমুনা খাতুন, সুমী, সুমাইয়া, জেরিন ইসলাম, জান্নাতুল, জাকিয়া আক্তার, মরিয়ম খাতুন, লিমা আক্তার, সাদ্দাম হোসেন, আসিফ, ফাতেমা খাতুন, দুলা আক্তার, মারিয়া, আসিফ মাহমুদ, জিয়াসমিন, মারিয়া, মুহাম্মদ আলী, রিফাত হোসেন, শাকিলা, সানজিদা, ফাতেমা খাতুন, আফসানা খাতুন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন শনিবার

টাঙ্গাইলে স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’

শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল রবিবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেন। ক্লাস চলাকালীন বিকেল ৩টার দিকে সপ্তম শ্রেণির ছয়জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ক্লাস চলাকালীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৩৫ জন শিক্ষার্থী অচেতন হন। স্থানীয়ভাবে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুইটি শ্রেণিকক্ষ থেকেই এক ধরনের গন্ধ পাওয়া গেছে বলেও জানায় তারা।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সকালে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা জানতে পারেন ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাও একজন-দুইজন না অনেকে। পরে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান। পরে তারা তাদের সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যান।

অভিভাবকদের অভিযোগ, গতকাল ছয়জন যখন অচেতন হয়েছে, তখনই যদি শিক্ষকরা ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতেন তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। এরপর স্কুলের ক্লাস রুমগুলো খুবই নোংরা। স্কুলে কোনো নিরাপত্তা নাই। তাদের ধারণা, বখাটে অথবা দুষ্কৃতকারীরা ক্লাস রুমে ঢুকে চেতনানাশক স্প্রে করেছে। 

কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, “গত দুইদিনে ৪১জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। দুইটি শ্রেণি কক্ষে একই ধরনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।” তার ধারণা, শ্রেণি কক্ষে কেউ চেতনানাশক স্প্রে করে থাকতে পারে। 

তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কাজ করছি। এলাকার কোন লোক এ কাজ করতে পারে কিনা খতিয়ে দেখছি। যদি শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা সুলতানা নিলা বলেন, “ভ্যাপসা গরম অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা অচেতন হয়ে থাকতে পারে। তবে পরীক্ষা না করে সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব না। সেখানে আমাদের মেডিকেল টিম গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিক্ষা করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।”

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, “স্কুলের শিক্ষার্থীদের অচেতন হয়ে পড়ার বিষয়টি জেনেছি। প্রধান শিক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম গেছে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তারা বিষয়টি দেখবে। পুলিশও গেছে। স্কুলের আঙিনা ও রুম অপরিচ্ছন্ন কি না বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ