সিদ্ধিরগঞ্জে ৩টি কারখানাসহ ৩ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা
Published: 19th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কারখানা সহ তিন শতাধিক অবৈধ গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। দুইটি কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে দুই লক্ষ টাকা।
জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধিন জালকুঁড়ি, তালতলা ও আমতলা এলাকার তিনটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
পরে কারখানাগুলোর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান অবৈধ পাইপ, রাইজার ও বার্ণার। একই সাথে অবৈধ সংযোগ স্থলগুলো স্থায়ীভাবে সীলগালা করে দেয় তিতাস কতৃপক্ষ।
পরে এক কিলোমিটার বিস্তৃত অর্ধ শতাধিক বাসা বাড়ির তিন শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাসের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়ন
জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযানকালে তিতাসের আবাসিক লাইনের সংযোগস্থল থেকে দুইটি ওয়াশিং কারখানা ও একটি মেটাল ফার্ণিচার কারখানায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগের প্রমান পাওয়া যায়।
ফলে তিনটি কারখানারই অবৈধ সংযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করি। এর মধ্যে জিসান ওয়াশিং লন্ড্রি নামে একটি ওয়াশিং কারখানা এবং শাহ জালাল ফার্নিচার নামে একটি মেটাল খানাটুলি কারখানা থেকে এক লক্ষ টাকা করে মোট দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তবে বিসমিল্লাহ মেটাল নামে আরেকটি কারখানায় মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় জরিমানা করা সম্ভব হয় নি।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের নারায়ণগঞ্জ জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শত ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
মেট্রোরেল স্টেশনে সাইকেল পার্কিংয়ের পরিকল্পনা ডিএনসিসির
মেট্রোরেলে যাতায়াতকারীদের মধ্যে যারা সাইকেল ব্যবহার করে স্টেশনে যান তাদের জন্য স্টেশনে সাইকেল পার্কিয়ের ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়েছে।
পোস্ট বলা হয়, ডিএনসিসির ইনোভেশন ল্যাব বর্তমানে ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে সাইকেল পার্কিং স্টেশন তৈরির সম্ভাবনা অনুসন্ধান করছে। এজন্য একটি জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই জরিপে অংশ নেওয়ার জন্য এই ঠিকানায় (https://ee.kobotoolbox.org/x/uhwlzT4u) তথ্য জানাতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়।
বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এজাজ আহমেদও তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছেন। জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছে-ব্যবহারকারীর বয়স, জেন্ডার, পেশা, বর্তমানে কোন এলাকায় বসবাস করছেন, কতবার মেট্রোরেল ব্যবহার করেন, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন এলাকায়, সাইকেল চালাতে পারেন কিনা, সাইকেল আরোহীদের জন্য ঢাকায় কীভাবে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায় এমন পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মূলত তারা এই জরিপ পরিচালনা করে যদি দেখেন, মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে মেট্রোরেল স্টেশনে যেতে চান এবং সেখানকার পার্কিংয়ে সাইকেল রেখে মেট্রোতে করে কর্মক্ষেত্রে যাবেন, আবার ফিরে এসে সেই পার্কিং থেকে সাইকেল নিয়ে বাসায় যাবেন- তাহলে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে নির্দিষ্ট ফি’র মাধ্যেমে সাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এতে মানুষ সাইকেল চালিয়ে যাতায়াতে অভ্যস্ত হবেন বলে জানানো হয়েছে।