রাকসু নির্বাচন ও শতভাগ আবাসন চান রাবি শিক্ষার্থীরা
Published: 19th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তপশিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মো.
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের স্বাধীনতার পর পছন্দমতো লোককে পদে বসিয়েছি। আট মাস পার হওয়ার পর মনে হচ্ছে তাদের কোনো দায় নেই। ১৪০০ ছাত্র শহীদ হয়েছে। একটা স্বপ্নের জন্য অনেক জীবন চলে গেছে। অথচ তাদের আচরণে মনে হয় না জুলাই বিপ্লবের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। তারা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, রাকসুই শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একটি নির্বাচিত রাকসুই পারে প্রশাসনের নিয়োগ কার্যক্রম থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে। এজন্য একটি মহল চায় না রাকসু নির্বাচন হোক। তাহলে সবকিছু ফাঁস হয়ে যাবে।
ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ অভি বলেন, ক্যাম্পাসে আবাসন সমস্যা একদিনের নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। কাজ করেনি। প্রশাসনকে বলব আপনাদের নির্বাচন কমিশন অথর্ব। আপনারা শিক্ষার্থীদের অনুভূতির মূল্যায়ন যদি না করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হবে। রাকসু নিয়ে কোনো রকম টালবাহানা চলবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের জমি কী কেউ কবজা করে রেখেছে? তাহলে কেন নতুন হল হচ্ছে না? আসলে প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে এগুলো কোনো ব্যাপারই নয়। আমাদের পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সদিচ্ছা নেই। হল নিয়ে বড় একটা সিন্ডিকেট সক্রিয়। এ সিন্ডিকেটই চায় না বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ আবাসিক হোক। তাহলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, ‘উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে রাকসু কার্যকর করবেন। প্রাথমিক কাজও সম্পন্ন হচ্ছে না। রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দাবি জারি থাকবে। উপাচার্য কোমর ভাঙা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কোমর ভাঙা কমিশনকে বয়কট করছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ক সমন বয়ক ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।