ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২০৪ জন, অর্ধেকই বরিশাল বিভাগের
Published: 4th, July 2025 GMT
নতুন করে আরও ২০৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এসব মানুষ। এর মধ্যে অর্ধেকই (১০১) আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৮, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ২৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১১ হাজার ৬৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৬টি মামলায় অব্যাহতি পেলেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষা, নিরব লড়াই আর আইনি জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ১৬টি মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।
২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এসব মামলার ভার কাঁধে বয়ে চলেছেন এই আলেম-নেতা। অবশেষে ২০২৫ সালের ২২ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত আদালতের ধারাবাহিক রায় অনুযায়ী এসব মামলা থেকে মুক্তি মিলেছে তার।
অভিমত জানাতে গিয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, “বিগত স্বৈরাচার সরকার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করেছে। কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে তাদের পতনের পর প্রমাণ হয়েছে, এসব ছিল নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আল্লাহর কৃপায় আজ আমি মুক্ত।”
তবে এখানেই শেষ নয়। মাওলানা ফেরদাউস আরও জানান, “১৬টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও এখনো আমার নামে ১৩টি মিথ্যা মামলা ঝুলে আছে। এসব মামলাও দ্রুত নিষ্পত্তি চাই, যেন আমি স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে পারি।”
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালন করলেই যদি বারবার মামলা আর হয়রানির শিকার হতে হয়, তবে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
“আমাদের সব কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। তারপরও নানা অজুহাতে মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মানেই সমালোচনা থাকবে, কিন্তু জুলুম-নির্যাতন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়,” — যোগ করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফেরদাউসুর রহমান বরাবরই ছিলেন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সচেতনার প্রতীক। তার বিরুদ্ধে করা এসব মামলা বরাবরই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।