যে সম্পর্কে মায়া আছে সে সম্পর্ক দৃঢ় ও মজবুত। মায়ায় জড়ানো সম্পর্ক মধুর হয়ে থাকে। যিনি সম্পর্ককে মায়ায় জড়াতে জানেন, তিনিও শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকৃত হন। 

একটি সুন্দর সম্পর্ক আপনাকে মানসিক, শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে পারে। এ বিষয়ে হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের মনোবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ডক্টর জেনিফার গেচেলের ভাষ্য, ‘‘সুসম্পর্ক লালন পালন আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করে থাকে।“

আমরা কি নিজেকে প্রশ্ন করি, একটা সম্পর্কে বাঁচাতে হলে সবসময় কি বড় কিছুর দরকার হয় ? প্রশ্নটা কেমন অদ্ভুত শোনালো তাই না? আমরা মানুষরা ধরেই নেই কোনো সম্পর্কে আছি মানে তার সামাজিক,পারিবারিক কিংবা অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিলেই পাঠ চুকে যায়। আদৌতে তা কিন্তু না। হয়তো সঙ্গী বা বন্ধুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার বিপর্যস্ত থাকার কারণ খুঁজে দেখুন, তাকে অভয় দিন তবেই সম্পর্কটি সুস্থ একটি সম্পর্ক হয়ে উঠবে।

আরো পড়ুন:

বিয়ের দাবিতে ৩ সন্তানের মায়ের অনশন, শেকলে বেঁধে নির্যাতন

আজ ‘প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা দিবস’

যত্ন নিন: ছোট ছোট যত্নের অভাবেই প্রিয় মানুষগুলো কাছে থেকেও দূরের হয়ে যায়। তাছাড়া এখন সবকিছুতেই আমাদের হাতে অপশন খুঁজে নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। অপশনের এ ব্যাপারটা যদি একটি সম্পর্কের বেলাতেও সব সময় খুঁজতে থাকি, তাহলে সম্পর্কটি অনাদরে ভুগতে থাকে। সম্পর্ক ভুল বোঝাবুঝি আছে, উত্থান-পতন আছে। একটু খুঁজে দেখুনতো একে অপরের অধিক ভুল ধরতে গিয়ে এই ছন্দপতন ঘটাচ্ছেন কিনা!

ইতিবাচক থাকুন: ব্লুগ্যাপ ওয়েবসাইটের তথ্য, ‘নেতিবাচকের থেকে বেশি ইতিবাচক হওয়ার চেষ্টা করুন। চাইলেই সবকিছুতেই ভুল ধরা সম্ভব। কিন্তু কি লাভ? অযথা সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়।’ 

সম্পর্কের ভিত্তিগুলোতে জোর দিন: কাছাকাছি থাকা মানেই কিন্তু পাশে থাকা নয়। সম্পর্কে হতে হয় কাচের মতো স্বচ্ছ । সম্পর্ক শব্দটা ছোট হলেও এর গুরুত্ব অনেকখানি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে সম্পর্কের সংজ্ঞা। তাই বলে সম্পর্ক সুখের হোক কে না চায়। ভালবাসা, বিশ্বাস, পারস্পরিক বোঝাপড়াই যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি। 

মনোযোগ দিয়ে কথা শুনুন: হয়তো আপনার প্রিয়জন খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, তার অগোছালো কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে দেখুন। তাকে বোঝান যে, তার প্রতি আপনার মনোযোগের কোনো অভাব নেই। আপনার মনোযোগ পেলে দেখবেন সেই আগোছালো কথাগুলোই ক্রমে গুছিয়ে বুনে দিচ্ছে ভালোবাসার অসাধারণ সব মুহূর্ত। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন য গ আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ন্যানো বানানা এআই শাড়ি’ ট্রেন্ড, কীভাবে বানাবেন পছন্দের ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৯৯০ দশকের মতো করে শাড়ি পরার ছবি পোস্ট করছেন নেটিজেনরা। এআই টুল দিয়ে শাড়ি পরা ছবি নিজের মনের মতো সম্পাদনা করে পোস্ট করা হচ্ছে এসব ছবি। গুগলের জেমিনি টুল, ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি দিয়ে সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে ছবি। 

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের প্রফেশনাল আইডি আছে, তারা এই ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সৌখিন ও প্রযুক্তিবান্ধব নারীরাও পছন্দ করেছেন এই ট্রেন্ড। বিভিন্ন ধরনের প্রম্পট ব্যবহার করে ছবি তৈরি করে নিজের ছবিতে অন্য মাত্রা যোগ করছেন নেটিজেনরা।  

আরো পড়ুন:

পোশাক উৎপাদনের ফলে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

নিজের প্রতি সদয় কেন হতে হবে?

কীভাবে বানাবেন এআই শাড়ি স্টাইলের ছবি?

প্রথম ধাপ
শুরুতে গুগল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। এজন্য আপনার ফোন বা কম্পিউটারে গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন। এরপর গুগলের AI টুল Gemini অথবা ChatGPT খুলুন। টুল ব্যবহার করতে চাইলে https://gemini.google.com বা https://chat.openai.com এই লিঙ্কে যান।

দ্বিতীয় ধাপ
‘ছবি সম্পাদনা’ অপশনে গিয়ে Gemini-এর হোমপেজে যান। এবার আপনি Try photo editing বা ‘ছবি সম্পাদনার চেষ্টা করুন’ নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন। এবং আপনি একটা ছোট বানানা আইকন দেখতে পাবেন—যেটা এই ট্রেন্ডের ইঙ্গিত!

তৃতীয় ধাপ
মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে নিজের ছবি আপলোড করে নিন। চেষ্টা করুন যেন মুখটা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ক্যামেরার দিকে তাকানো বা হালকা হাসিমুখে ছবি হলে সম্পাদনা ভালো হবে।

চতুর্থ ধাপ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ছবির সঠিক বর্ণনা দেওয়া বা  সঠিক প্রম্পট দেওয়া।  আপনি এআই-কে যেভাবে বলবেন, ছবিটা সেই অনুযায়ী বানাবে। চাইলে আপনি শাড়ির রঙ, ব্যাকগ্রাউন্ড, মুড, ফিল্টার ইত্যাদি কাস্টমাইজ করেও লিখতে পারেন।

শেষ ধাপ
বর্ণনা দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই ফলাফল দেখুন এবং ডাউনলোড করুন।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ন্যানো বানানা এআই শাড়ি’ ট্রেন্ড, কীভাবে বানাবেন পছন্দের ছবি