বাবা হলেন ব্যাচেলর পয়েন্ট নির্মাতা অমি
Published: 20th, May 2025 GMT
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বাবা হয়েছে। আজ রাজধানীর একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তাঁর স্ত্রী। খবরটি এ নির্মাতা নিজেই জানিয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল ছিল এই পরিচালকের বিবাহবার্ষিকী। এদিন স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে জানান দেন তারা বাবা-মা হতে যাচ্ছেন।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তান আগমনের খবর জানিয়েছিলেন এ নির্মাতা।ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ, একসঙ্গে ৯ বছর কাটালাম। আমাদের বেবি হবে। আসলে এখনও আমি জানি না যে, সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে। ইনফ্যাক্ট এটা জিজ্ঞেসও করিনি। তবে যেটাই হবে, আমি চাই আমার সন্তান যেন সুস্থ হয় এবং আমার স্ত্রীও সুস্থ থাকুক। সবার কাছে দোয়া চাই।
সন্তানের নাম প্রকাশ না করে অমি বলেন, ‘পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছি। সন্তান ও সন্তানের মা উভয়ই সুস্থ আছেন। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। ’
প্রথম সন্তান হওয়ার অনুভূতি নিয়ে জানতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুভূতিটা একটু অন্যরকম। এখনো ঠিকঠাক বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয়, নতুন করে এক ধরনের মায়া তৈরি হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গেল ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে অমির ওয়েব ছবি ‘হাউ সুইট’। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ। এ ছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইদুর রহমান পাভেল। ইতিমধ্যে এ নির্মাতা ঘোষণা দিয়েছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৫’র। এ ধারাবাহিকটি নিয়ে এরইমধ্যে দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরী হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভেঙে পড়ল ডাকবাংলো সেতুর রেলিং
দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। সেতুটির রেলিং শেষ পর্যন্ত ভেঙেই পড়ল।
সোমবার সন্ধ্যায় এক মোটরসাইকেল আরোহী সেতুটি পার হওয়ার সময় এর একাংশের রেলিং ভেঙে যায়। এ ঘটনা সেতুটির ঝুঁকির ব্যাপারে চূড়ান্ত বার্তা পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ডাকবাংলোর পশ্চিম দিক থেকে মোটরসাইকেলে দুই যুবক সেতুর পূর্ব দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেতুতে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলটি বের করার সময় রেলিংয়ে সামান্য চাপ লাগতেই সেটি ভেঙে যায়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সুহেল আহমদ বলেন, সদরের খাদ্যগুদামের পুরোনো সেতুটি ভেঙে দেওয়ার পর থেকে নদীর দুই পারের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি। এমনতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুর করুণদশা। সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ জোরাতালির এ সেতু দিয়ে উপজেলার পূর্বপার থেকে পশ্চিমপারে একমুখী যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও কেউ তা মানছে না। এমনই সেতুর অবস্থা নাজুক, তার ওপর যানজটের চাপে ঝুঁকি বেড়ে গেছে কয়েক গুণ বেশি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয় ডাকবাংলো সেতুর। শেষে ১৯৯৬ সালে এলজিইডি অধিদপ্তরের মাধ্যমে এর কাজ শেষ হয়। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ নদী খননকালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতু দেবে যাওয়ায় ১১ মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে এলজিইডি ও জগন্নাথপুর পৌরসভার উদ্যোগে সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়।
১৯৮৭ সালে উপজেলার নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্যগুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। গত সরকারের আমলে পুরোনো সেতুটি ভেঙে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিশোরগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ গত বছরের এপ্রিল মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
এ সেতুর পাশে ওই সময় বিকল্প হিসেবে হেলিপ্যাড এলাকায় একটি বেইলি সেতু তৈরি করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, ডাকবাংলোর সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিক কয়েকটি বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ সেতু নতুন করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।