ওয়েব সিরিজ
সেরা ওয়েব সিরিজ
‘কালপুরুষ’ (রেদওয়ান রনি)
‘কালপুরুষ’ একটা এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। চরকি এক্সপেরিমেন্টাল কাজ প্রযোজনা করতে ভালোবাসে। মেধাবী একটা টিম কাজ করেছে। নতুন একটি গল্পে নতুনত্ব দেখে আমাদের মনে হয়েছে এ ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল কাজ ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে। সে জায়গা থেকে কাজটি করা। জুরিরা কাজটিকে মূল্যায়ন করেছেন এবং বুঝেছেন যে নানান ধরনের, ভিন্ন স্বাদের গল্পের কাজ ইন্ডাস্ট্রির জন্য সহায়ক হবে। ধন্যবাদ সম্মানিত জুরিদের।

‘রঙিলা কিতাব ’(সাকিব আর খান)
কোনো কনটেন্ট যখন রিলিজ পায়, তখন দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাই আমাদের জন্য অনেক বড় পুরস্কার। তবে মেরিল-প্রথম আলো প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এবারও আমাদেরকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে, তা অবশ্যই আনন্দের। সমালোচক বিভাগে যাঁরাই মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁদের সবার জন্য শুভকামনা। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের আয়োজক সবাইকে। আর অনুরোধ থাকবে ওয়েব সিরিজের কলাকুশলীদের জন্য বিভাগ চালু করার।

‘সিনপাট’ (রেদওয়ান রনি)
চরকি যখন প্রযোজনা করে, তখন কোনো একটি নির্দিষ্ট শহর বা অঞ্চলের গল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সারা বাংলাদেশের গল্প নিয়ে কাজ করে। তাওকিরের আগের কাজ শাটিকাপ দর্শক ও সমালোচক অনেক পছন্দ করেছিলেন, মনোনয়ন পেয়েছিল। এবার সিনপাটও মনোনয়ন পেল সম্মানিত জুরিদের বিচারে। একদম আনকোরা শিল্পীদের নিয়ে করা কাজটি জুরিদের নজরে এসে মনোনয়ন পাওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সেরা চিত্রনাট্যকার
অনম বিশ্বাস (‘রঙিলা কিতাব’)
আমি আর শাওন ছাড়াও হইচই টিম আমাদের সঙ্গে খুব ক্লোজলি কাজ করেছে রঙিলা কিতাব-এর চিত্রনাট্য ডেভেলপ করার সময়। মনোনয়ন পেয়ে আমরা সবাই আনন্দিত। টিমের সবাইকে ও হইচইকে অভিনন্দন।

আশরাফুল আলম শাওন (‘রঙিলা কিতাব’)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচকদের বিচারে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ায় আমি অবশ্যই আনন্দিত। মেরিল-প্রথম আলো দেশের বিনোদন মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। আমি আর অনম বিশ্বাস অনেক সময় নিয়ে, অনেক যত্ন নিয়ে রঙিলা কিতাব–এর চিত্রনাট্য তৈরি করেছিলাম। দর্শকেরাও পছন্দ করেছেন, এখন সমালোচকদের বিচারেও মনোনয়ন এল, সব মিলিয়ে একটা স্যাটিসফেকশন কাজ করছে ভেতরে।

নুহাশ হুমায়ূন (‘২ষ’)
নিজের মনোনয়ন নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই কিন্তু সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে মায়ের মনোনয়ন যখন দেখলাম, তখন চোখে পানি চলে এল। এটা মায়ের লেখা প্রথম চিত্রনাট্য, যেখানে কবি হিসেবে মায়ের যে প্রতিভা বা গুণ রয়েছে, সেটা ফুটে উঠেছে চিত্রনাট্যে। অন্তরার মতো সাইকোলজিক্যাল গল্প কিংবা বেসুরার গল্পটা পুরাই কবিতার মতো ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে মা খুব সুন্দরভাবে এটা করেছেন। অবশ্যই মা এই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।

গুলতেকিন খান (‘২ষ’)
আমরা (নুহাশ এবং আমি) যখন স্ক্রিপ্ট লিখেছিলাম, তখন কোনো পুরস্কারের আশায় লিখিনি! তাই নিজের ছেলের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়ে ভালোই লাগছে। ধন‍্যবাদ!

সালজার রহমান (‘কালপুরুষ’)
একটা সিরিজ বা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চিত্রনাট্য। এই বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে আমি খুবই খুশি। এটা আমার প্রথম চিত্রনাট্য, সে কারণে আনন্দের মাত্রাটাও অনেক বেশি।

সেরা পরিচালক
অনম বিশ্বাস (‘রঙিলা কিতাব’)
মেরিল-প্রথম আলোর মনোনয়ন টিমের সবাইকে এক্সাইটেড করে ফেলে, সবার ভেতর অন্য রকম একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করতে আরম্ভ করে যে পর্দার পেছনে আমাদের এফোর্টটা কেউ বুঝতে পেরেছে। টিমের এই আনন্দ আমাকে দারুণভাবে আশান্বিত করে; কারণ, এই নমিনেশন আসলে পুরো টিমের।

নুহাশ হুমায়ূন (‘২ষ’)
পরিচালক হিসেবে ‘২ষ’–এর জন্য মনোনয়ন পেয়ে ভালো লাগছে, ধন্যবাদ জুরিদের। অভিনন্দন আমার টিমের সবাইকে।

সালজার রহমান (‘কালপুরুষ’)
নিজের লেখা চিত্রনাট্য নিজে পরিচালনা করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি আশা করছি, যেটা দেখাতে বা বলতে চেয়েছি, সেটা কিছুটা হলেও পেরেছি। এটা আমার লং ফরম্যাটের প্রথম নির্দেশনা। এতে মনোনয়ন পাওয়ায় আমি খুবই কৃতজ্ঞ।

সেরা অভিনেত্রী
জিন্নাত আরা (‘সিনপাট’)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪–এ সমালোচকদের বিচারে চূড়ান্ত মনোনয়নের ঘটনা শুধু আমার জন্যই নয়, আমার মতো হাজার হাজার অভিনয়ে আগ্রহী মানুষদের জন্য একটা অনুপ্রেরণা তৈরি করেছে। ‘দুরু’ চরিত্রের গাঁথুনিতে বহু মানুষের অবদান আছে। পুরো সিনপাট টিমের জন্যই এটা একটা সফলতা। এত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিল্পীদের পাশে নিজের নাম দেখে পুলকিত হয়েছি। চলচ্চিত্র স্বাধীন ও বৈষম্যহীন হোক, এই প্রত্যাশা করি। এবং বাংলাদেশে সুনির্মিত কাজের তালিকা আরও দীর্ঘ হোক। মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪–এর আয়োজক, জুরিবোর্ড ও বাংলাদেশের আপামর দর্শকদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

পরীমনি (‘রঙিলা কিতাব’)
এমন কিছু চরিত্র থাকে, যেটাতে কাজ করলে বেদনা, কষ্ট, অভিমান, বুকের ভেতর দমে যাওয়া আর্তনাদ—সবকিছু কেমন মায়া মায়া আবেশ হয়ে সঙ্গে রয়ে যেতে চায়। রঙিলা কিতাব–এ সুপ্তি আমার অভিনীত তেমনই একটা ভালোবাসার চরিত্র। মুক্তির পর দর্শকেরা এই চরিত্র নিয়ে অনেক ভালো লাগার কথা বলেছিলেন। এখন মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের জুরিবোর্ডও তা পছন্দ করেছেন। চূড়ান্ত মনোনয়নে রেখেছেন। কাজটি করতে গিয়ে অসাধারণ একটা টিমও পেয়েছিলাম। তাই এই মনোনয়নের জন্য আমার পুরো টিমকে অভিনন্দন ও ভালোবাসা। পুরো ব্যাপারটা আমার জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।

মেহজাবীন চৌধুরী (‘আরারাত’)
‘আরারাত’ এমন এক কাজ, যেখানে আমি নিজেকে ভাঙার এবং নতুনভাবে গড়ার সুযোগ পেয়েছি। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এ চরিত্রটি আমাকে অনেক গভীরতায় নিয়ে গিয়েছিল। সমালোচকদের বিচারে এই মনোনয়ন পাওয়া শুধু আমার জন্য নয়, পুরো টিমের জন্য এক বিশাল স্বীকৃতি। এই সম্মান আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে।

সেরা অভিনেতা
এফ এস নাঈম (‘কালপুরুষ’)
যে অনুষ্ঠানে বড় বড় শিল্পীকে কাজের সম্মান দেওয়া হয়, সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য, একটা কার্ডের জন্য বড় ভাইদের অনেক অনুরোধ করতাম। একটা সময় নিজের নামে কার্ড আসা শুরু হলো। এবার সেই অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিচারকদের দৃষ্টিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছি। যে কাজটির জন্য নিজেকে তৈরি করতে ১৯ মাসের একটি সাধনা করেছি আমি। এখানে সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পাওয়া মানে টিমের সবার কাজকে সম্মানিত করা। এই স্বীকৃতি আমার পুরো টিমের। এই অনুভূতি অনেক আনন্দের। ধন্যবাদ সবাইকে।

মোশাররফ করিম (আধুনিক বাংলা হোটেল)
মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনমেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪: মনোনয়নপ্রাপ্ত সেরা আট অভিনেতা১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোস্তাফিজুর নূর ইমরান (‘রঙিলা কিতাব’)
মনোনয়ন তো নিঃসন্দেহে ভালো ব্যাপার। আনন্দের ব্যাপার। অনুভূতিও দারুণ। চরিত্রটিকে পছন্দ করলে তো অবশ্যই ভালো লাগে। সে জন্যই তো কাজ করা। উৎসাহ ও স্বীকৃতি কাজের প্রেরণা দেয়, আরও ভালো কাজ করার চেষ্টার জন্য তাগিদ তৈরি করে। খুবই ভালো লাগছে মনোনয়ন পেয়ে। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ। আয়োজক ও বিচারকদের ধন্যবাদ। দর্শকদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ হইচইকে এবং অনম বিশ্বাসকে রঙিলা কিতাবকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। টিমের সবাইকে ধন্যবাদ দুর্দান্ত প্রচেষ্টার জন্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল চ ত রন ট য প রস ক র ম র জন য আনন দ র ই আনন দ চর ত র ক জ কর কর ছ ন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি অফিসার পদে নিয়োগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) আইটি অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (QAC) অধীনে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

পদের নাম: আইটি অফিসার

পদসংখ্যা: ০১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম সিজিপিএ–৩.০০ (৪.০০ স্কেলে)–সহ চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। একাডেমিক জীবনের কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকা যাবে না।

প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে (যেমন কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স, একাডেমিক প্রশাসন, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন বা ডেটা অ্যানালাইসিস) স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন তিন বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ৪১ মিনিট আগেবয়সসীমা

সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

বেতন–ভাতা

আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের সঙ্গে বিস্তারিত সিভি, সব শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং দুই কপি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৮ ঘণ্টা আগে

আবেদনের ঠিকানা

পরিচালক,

ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ),

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ