সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে বিচার কার্যক্রম
Published: 20th, May 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমের ভিডিও ধারণ করা ও গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যে কোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই-আগস্টে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে দুটি করা হয়েছে।
এরআগে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারিদের অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
অভিযোগ দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেশ ছাড়ার পর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে গুলি করা পুলিশ সদস্যদের আসামি করে একাধিক মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনা ছাড়াও রাজধানীর চানখারপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যা মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন চিফ প্রসিকিউটর।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বদল
ছবি: সংগৃহীত