কারামুক্তির পর মায়ের সঙ্গে ফিরেন বিমর্ষ ফারিয়া
Published: 20th, May 2025 GMT
একরাত কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তি পান তিনি। কারাগারের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন তার মা ফেরদৌসী বেগম ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ স্বজন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে সোজা মায়ের সঙ্গে গাড়িতে ওঠেন নুসরাত ফারিয়া। তার চেহারায় ছিল স্পষ্ট ক্লান্তি। বিমর্ষ ফারিয়া কালো রঙের কাচঘেরা গাড়িতে করে গাজীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এসময় কারো সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি, কারামুক্ত হয়ে নুসরাত ফারিয়া
মুক্তির পর ফারিয়ার পোস্ট, দিলেন অসুস্থতার বার্তা
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ ফারিয়াকে তার মায়ের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়। মা ফেরদৌসী বেগম সকাল থেকেই আদালত চত্বরে মেয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তখন দেখা হয়নি। বিকেলে কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মা-মেয়ের দেখা হয়।
গত ১৮ মে দুপুরে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারপর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নুসরাত ফারিয়ার জামিন শুনানির জন্য ২২ মে, নতুন তারিখ ধার্য থাকলেও বিশেষ শুনানি করে একদিন আগেই অর্থাৎ মঙ্গলবার (২০ মে) নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আজ বিকেলে ৩টা ২৮ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি পান এই অভিনেত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ‘জুলাই আন্দোলনে’ অংশ নেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। কয়েক মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে চলতি বছরের ৩ মে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এ মামলায় নুসরাত ফারিয়া ২০৭ নম্বর আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এজাহারে তাকে আওয়ামী লীগের অর্থের ‘জোগানদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।