শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
Published: 21st, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।
বুধবার (২১ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ+’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-২’।
আরো পড়ুন:
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ড.
ওয়ান ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২৫ মে
কোম্পানিটির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।
ঢাকা/এনটি/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আন্দোলনে আহত ৩৫৭ জনের তালিকায় নাম নেই তামিমের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত কুমিল্লার ৩৫৭ জনের তালিকায় নাম নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র তামিম হোসেনের। ২০২৪ সালের ১২ জুলাই ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন তিনি। এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলাকালে হামলার ভিডিও করার সময় ছাত্রলীগের নেতারা তাঁকে ধরে নিয়ে হলে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে। আহত তামিম দেবিদ্বার উপজেলার সাইতলা গ্রামের কৃষক আলী আসাদের ছেলে।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। গত বছরের ১২ জুলাই ভিক্টোরিয়া কলেজে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন তামিম। এতে ছাত্রলীগ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করে কলেজ ক্যাম্পাসের কাজী নজরুল হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
তামিমের সহপাঠী খলিলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ ও বেলাল হোসেন জানান, তামিমকে মারধরের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি করেছে, সে কমিটি এখন পর্যন্ত তদন্তই শেষ করতে পারেনি। তামিমকে যারা মারধর করছে, তাদের কেউ বিদেশে চলে গেছে, অনেকে আত্মগোপনে। তারা আরও জানান, কুমিল্লায় গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটেগরির জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক দেবে সরকার। এর একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার ওই তালিকায় স্থান পাওয়া কুমিল্লার ৩৫৭ জনের মধ্যে নাম নেই তামিমের।
তামিম বলেন, ‘যখন আহতদের এমআইএস কার্যক্রম চলছিল, তখন কয়েকবার কলেজে যোগাযোগ করেছিলাম। কলেজ থেকে বলছিল নেট নেই। আরেক দিন বলে আজ আমাদের লোক পরীক্ষার ডিউটিতে। এভাবে নানা বাহানা করেছে। কলেজের আশায় থেকে কোথাও যোগাযোগ করা হয়নি। শেষে আমার নাম তালিকাভুক্তই হলো না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজন এমন তালিকা করে আহতদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আহত তামিমের মেডিকেল সনদপত্র দিয়ে আবেদন করলে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার ভূঁঞার ভাষ্য, তামিমের নাম তালিকায় না ওঠার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, তামিমকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমআইএস সিস্টেমে আবেদন করতে হবে। তালিকা প্রকাশ হলেও যারা আবেদন করতে পারেনি, তাদের তথ্যপ্রমাণাদিসহ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।