কোনো আসক্তি কাটিয়ে ওঠার অসাধারণ ৬টি দোয়া
Published: 23rd, May 2025 GMT
জীবনকে মাঝেমধ্যে লক্ষ্য আর সংগ্রামের মধ্যে টানাপোড়েন বলে মনে হয়। কখনো কখনো আমরা এমন চক্রে আটকে যাই, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ জানা থাকে না। আসক্তি—তা স্বভাবগত খারাপ অভ্যাস, মাদক বা ক্ষতিকর আচরণ যা-ই হোক না কেন—দূর করা অসম্ভব মনে হয়। দোয়ার দ্বারা কি তা সম্ভব? ইসলাম আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আল্লাহর ওপর ভরসা করলে কোনো চেষ্টাই অসম্ভব নয়। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া আমাদের শক্তি ও ধৈর্যের উৎস হতে পারে। এখানে আমরা সাতটি দোয়া তুলে ধরছি, যা আসক্তি থেকে মুক্তি ও জীবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সহায়তা করবে।
১.
পথহারা হলে হেদায়াতের দোয়া
যদি মনে হয় পথ হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে জানুন আল্লাহর হেদায়াত আপনার পথপ্রদর্শক। কোরআন থেকে এই দোয়া পড়ুন: ‘ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম।’ অর্থ, আল্লাহ, আমাদের সরল পথ দেখাও। (সুরা ফাতিহা: ৬)
নামাজে তো আমরা পড়িই, যখন একা থাকেন, তখনই বলুন: ‘ইয়া আল্লাহ, আমাকে সঠিক পথ দেখাও।’
২. আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দোয়া
আসক্তি কাটিয়ে উঠতে ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এই দোয়া আপনাকে শক্তিশালী করবে: ‘রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরান ওয়া সাব্বিত আকদামানা ওয়ানসুরনা।’ অর্থ, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের হৃদয়ে ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পদক্ষেপ অটল করো এবং আমাদের বিজয় দান করো। (সুরা বাকারা: ২৫০)
এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর কাছে সংগ্রামে জয়ের শক্তি চাইছেন। মনে রাখবেন, বিজয় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়।
৩. ক্ষমা ও নতুন শুরুর জন্য দোয়া
ভুল হয়ে যায়, কিন্তু আল্লাহর রহমত অসীম। ভুল করলে এই দোয়া পড়ুন: ‘রাব্বি ইন্নি জালামতু নাফসি ফাগফির লি।’ অর্থ, হে আমার প্রতিপালক, আমি আমার নিজের ওপর জুলুম করেছি, তাই আমাকে ক্ষমা করো। (সুরা কাসাস: ১৬)
এই সংক্ষিপ্ত দোয়া আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, আল্লাহ আন্তরিক তাওবা ভালোবাসেন এবং প্রতিদিনই একটি নতুন শুরু।
আরও পড়ুনদরুদ কেন পড়ব২৮ এপ্রিল ২০২৫৪. ভালো অভ্যাস দিয়ে খারাপ অভ্যাস বদলানোর দোয়া
আসক্তি থেকে মুক্তি মানে কেবল কিছু বন্ধ করা নয়, সেই জায়গা ভালো কাজ দিয়ে পূর্ণ করা। সেই রূপান্তরের জন্য এই দোয়া পড়ুন:
‘রাব্বানা লা তুয়াখিযনা ইন নাসিনা আও আখতানা। রাব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাজিনা মিন কাবলিনা। রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাকাতা লানা বিহি। ওয়াফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা। আনতা মাওলানা ফানসুরনা।’
অর্থ, হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুল করি, তবে আমাদের শাস্তি দিয়ো না। হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যে বোঝা চাপিয়েছিলে, তেমন বোঝা আমাদের ওপর চাপিয়ো না। হে আমাদের রব! আমাদের ওপর তা চাপিয়ো না, যা সহ্য করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদের ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমিই আমাদের অভিভাবক। অতএব, আমাদেরকে বিজয় দান করো। (সুরা বাকারা: ২৮৬)
৫. প্রলোভন থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া
আমাদের চারপাশে নানা প্রলোভনের ফাঁদ ওত পেতে থাকে। একটি দোয়া প্রলোভনের ফাঁদ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে: ‘আল্লাহুম্মা ইকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াকা।’
অর্থ, হে আল্লাহ, তোমার হালাল দিয়ে আমাকে তোমার হারাম থেকে রক্ষা করো এবং তোমার অনুগ্রহে আমাকে অন্যের প্রয়োজন থেকে মুক্ত করো। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৬৩)
৬. হৃদয় শুদ্ধ করার দোয়া
আসক্তি থেকে নিরাময় হতে পারে হৃদয় পরিশুদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে। হৃদয়ের পরিচ্ছন্নতার জন্য এই দোয়া পড়তে পারেন:
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন ফিতনাতিন নারি ওয়া আজাবিন নারি, ওয়া ফিতনাতিল কাবরি ওয়া আজাবিল কাবরি, ওয়া শাররি ফিতনাতিল গিনা, ওয়া শাররি ফিতনাতিল ফাকরি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল। আল্লাহুম্মাগসিল কালবি বিমায়িস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়া নাক্কি কালবি মিনাল খাতায়া, কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবয়াদা মিনাদ দানাসি। ওয়া বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতায়ায়া কামা বায়াদতা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিবি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল কাসালি ওয়াল মাআসামি ওয়াল মাগরামি।’
অর্থ, হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে জাহান্নামের ফিতনা, জাহান্নামের শাস্তি, কবরের ফিতনা, কবরের শাস্তি, ধন-সম্পদের ফিতনার ক্ষতি এবং দারিদ্র্যের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে মাসিহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ, আমার হৃদয়কে তুষার ও শিলার পানি দিয়ে ধুয়ে দাও এবং আমার হৃদয়কে সব পাপ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করো, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। আমার এবং আমার পাপের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করো, যেমন তুমি পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছ। হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে অলসতা, পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৭৭)
মুক্তি আসে আশাবাদী মনে
আসক্তি থেকে মুক্তি সহজ নয়, কিন্তু আল্লাহ আপনার সঙ্গে থাকলে এটি সম্পূর্ণ সম্ভব। এই দোয়াগুলো আপনার আধ্যাত্মিক হাতিয়ার। হতাশ সময়ে আশা মনে হয় দূর-অস্ত ব্যাপার। কিন্তু আল্লাহ আমাদের তাঁর রহমত থেকে নিরাশ না হতে বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছে! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা যুমার: ৫৩)
সূত্র: মুসলিম গার্ল ডটকম
আরও পড়ুনইয়া জালালি ওয়াল ইকরাম কেন পড়ব ২৭ আগস্ট ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ ম ম আম দ র প র দ র ওপর র জন য এই দ য আসক ত
এছাড়াও পড়ুন:
আশুরা: শোক, শিক্ষা ও আত্মত্যাগের চিরন্তন প্রতীক
স্মৃতি যখন রক্তাক্ত হয়, ইতিহাস তখন থমকে দাঁড়ায়। তেমনি এক গভীর শোক, শিক্ষা ও আত্মত্যাগের নাম আশুরা। হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম, আর এই মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটি মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক দিন।
আশুরার স্মৃতি শুধু শোকের নয়, এটি আদর্শ, আত্মত্যাগ এবং ন্যায়ের প্রতীক। এদিন মুসলমানদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়, সত্যের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করা যাবে না।
আশুরার তাৎপর্য বহুমাত্রিক। এটি যেমন নবীদের নানা বিজয় ও রহমতের দিন, তেমনি ইমাম হুসাইন (রা.)-এর নেতৃত্বে সংঘটিত কারবালার হৃদয় বিদারক আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে। আশুরা আমাদের শেখায়, কীভাবে ধৈর্য, সাহস ও ঈমানের শক্তিকে ধারণ করে কঠিন সময়েও সত্যের পথে অটল থাকা যায়। এই দিনে রক্ত ঝরেছে, কিন্তু মাথা নোয়ানো হয়নি।
আরো পড়ুন:
সিকৃবির প্রধান ফটকের নাম ‘জুলাই ৩৬’
পাবিপ্রবিতে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজমবিষয়ক কর্মশালা
হাদিস ও ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী, আশুরার দিনে বহু ঐশী ঘটনা ঘটেছে। মহান আল্লাহ এই দিনে বহু নবী ও উম্মতের প্রতি অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষণ করেছেন। এই দিনে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- হযরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়, ৪০ দিনের মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পাহাড়ে থেমে যায়, হযরত ইদ্রিস (আ.) আসমানে জীবন্তভাবে উত্তীর্ণ হন, হযরত ইব্রাহিম (আ.)–কে আগুনে ফেলার পর এই দিনে আগুন ঠান্ডা হয়ে যায়, হযরত আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ রোগভোগের পর এই দিনে সুস্থ হন, হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান, হযরত দাউদ (আ.)–এর তওবা কবুল হয়, হযরত ইউসুফ (আ.) কূপ থেকে উদ্ধার হন, হযরত মূসা (আ.) বনি ইসরাইলকে লোহিত সাগর পার করান এবং ফেরাউন তার বাহিনীসহ সাগরে ডুবে যায়, হযরত ঈসা (আ.)–কে আসমানে উত্তোলন করা হয় ইত্যাদি।
এসব ঘটনাই আশুরার পবিত্রতা ও গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলে। এটি একদিকে রহমতের দিন, অন্যদিকে প্রতিবাদের দিন।
আশুরার সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা হলো কারবালার যুদ্ধ। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম, ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ঘটেছিল ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও আদর্শিক সংঘর্ষ। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) ও তার পরিবার সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে রুখে দাঁড়ান অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের বিরুদ্ধে। ইয়াজিদ ছিল এক নিষ্ঠুর, অবৈধ ও ইসলামবিরোধী শাসক। তার জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ইমাম হুসাইন (রা.) মাথানত না করে সত্য ও ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নেন।
তিনি মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হলে কারবালায় সঙ্গীদেরসহ তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পানির পথ বন্ধ করে তাদের তৃষ্ণার্ত করে তোলা হয়। অবশেষে, আশুরার দিনে শুরু হয় ভয়ংকর যুদ্ধ। মাত্র ৭২ জন সাহসী সঙ্গী নিয়ে ইমাম হুসাইন (রা.) হাজার হাজার সৈন্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একে একে সবাই শহীদ হন। শিশু, নারী, যুবক কেউ রেহাই পাননি।
৬ মাস বয়সী শিশু আলী আসগর পর্যন্ত তীরের আঘাতে প্রাণ হারায়। ইমাম হুসাইন (রা.) নিজেও শাহাদত বরণ করেন। এই ইতিহাস কোনো সাধারণ যুদ্ধের নয়, এটি আদর্শের, ঈমানের ও আত্মত্যাগের যুদ্ধ। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই মুসলমানের পরিচয়, আর আত্মত্যাগই সেই ঈমানের পরিপূর্ণতা। ইমাম হুসাইন (রা.) প্রমাণ করে গেছেন—সত্যের পথে মৃত্যুও গৌরবের।
আশুরার অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো এ দিনে রোজা রাখা। হিজরতের পূর্বেও রাসুলুল্লাহ (সা.) কুরাইশদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আশুরার রোজা পালন করতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে তিনি দেখতে পান, ইহুদিরাও এদিন রোজা রাখে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এদিন হযরত মূসা (আ.) ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তারা রোজা রাখে। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী।” (সহীহ বুখারী: ২০০৪)
এরপর থেকে তিনি এ দিনে রোজা পালন করেন এবং সাহাবীদেরও পালনের নির্দেশ দেন। পরে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ইহুদিদের রীতি থেকে ভিন্নতা আনতে পরের বছর মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ রোজা রাখাবেন। কিন্তু তিনি পরের বছর ইন্তেকাল করেন।
তাই ইসলামী ফিকহবিদরা বলেন, আশুরার রোজা একদিন হলেও রাখা জায়েয। তবে ইহুদিদের অনুকরণ না করতে চাইলে ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুইদিন রোজা রাখা উত্তম।
রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আশুরার দিন আল্লাহর কাছে আমি আশা করি, এদিনের রোজার মাধ্যমে গত বছরের গোনাহগুলো মাফ হয়ে যায়।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬২) এই হাদিসে দেখা যায় যে, আশুরার রোজা রাখা অত্যন্ত শুভ ও পুণ্যের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই রোজা মানবিক পাপের মোচন ঘটায়। অর্থাৎ, যিনি আশুরার রোজা রাখবেন, আল্লাহ তাকে অতীত বছরের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দান করবেন।
আশুরার রোজা শুধু গোনাহ মাফের সুযোগই নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির এক বিরাট মাধ্যম। এ দিনে রোজা রেখে মানুষ যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে, তেমনি আগের বছরের ভুল, পাপ ও গাফিলতির জন্য অনুশোচনা করে এবং নতুনভাবে জীবনে ভালো কিছু করার অঙ্গীকার করে। তাই এ রোজা শুধু ইবাদত নয়, বরং নিজেকে সংশোধনের এক মোক্ষম সুযোগ।
তাই আশুরার শিক্ষা হোক আমাদের জীবনের চালিকাশক্তি। আমরা যেন ইমাম হুসাইন (রা.)-এর মতো সাহসিকতা, ধৈর্য ও ত্যাগের আদর্শ ধারণ করে সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি—এটাই হোক আশুরার প্রকৃত শিক্ষা ও প্রতিজ্ঞা।
(লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
ঢাকা/মেহেদী