জিসানের মুক্তির দাবিতে যুব ফেডারেশন’র মানববন্ধন
Published: 23rd, May 2025 GMT
‘আদালত প্রাঙ্গনে মব নিয়ে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে 'মিথ্যা' আখ্যা দিয়ে এবং তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায়, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে জেলা যুব ফেডারেশন আহ্বায়ক সাকিব হোসেন হৃদয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম ইফতির সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জাহিদ সুজন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব নারায়ণগঞ্জ এর দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ আকাশ, মুখপাত্র গাজি রাকিবুল ইসলাম হিমেল, শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ এর সদস্য সচিব মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ এর সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, যুব নারায়ণগঞ্জ এর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মোল্লা এবং গণসংহতি জেলার অন্যতম নেতা আলমগীর ইসলাম আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে জাহিদ সুজন বলেন, "নারায়ণগঞ্জের ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য ও সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানকে ভুয়া মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।"
তিনি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "আমরা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম জিসানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ থাকলে হাজির করুন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।"
তার দাবি, পুলিশ জানিয়েছে জিসানের গ্রেপ্তারের পেছনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রয়েছে। সুজন অভিযোগ করেন, "স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে একই রকমভাবে প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হতো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বনাম ইসলামের নামে ভূয়া দ্বন্দ্ব তৈরি করে মানুষকে বিভাজিত করে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিলো।"
জাহিদ সুজন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা গত ১৭ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বলেছি, বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।"
তিনি আন্তর্জাতিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "একদিকে আমাদের পাশের দেশ ভারত অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে।"
২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন আলম বলেন, "২৪'এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলাম। ন্যায় বিচার ব্যবস্থা দেখতে চেয়েছিলাম।"
তবে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পরে আদালত-প্রশাসনে মব হাজির করে কিছু গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ আদায় করেছে।"
তিনি আরও দাবি করেন, "আমরা জানতে পেরেছি ১৮ নং ওয়ার্ডের এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিএনপির নেতা বন্যায় ত্রাণ দুর্নীতি করেছিল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে জিসানকে প্রতিহিংসাবশত মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।"
এদিকে সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুব ফেডারেশন আহ্বায়ক সাকিব হোসেন হৃদয় বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের পক্ষে। জিসানকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা একেবারে একটি বানোয়াট।
মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় জিসান নাকি পুলিশকে অবরুদ্ধ করেছে। আদতে সে সেদিন সেখানে ছিলোই না।
প্রশানকে বলতে চাই আপনাদের উপর নাগরিকদের অনাস্থা তৈরী হয়েছিলো, কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করে নাগরিকরা আপনাদের প্রতি আস্থা তৈরী করেছে।
আপনারা পুনরায় আবার অনাস্থা ফিরিয়ে আনবেন না। আবার যদি আনেন তাহলে মাফ তো পাবেই না। আমরা সাংবাদিক ও আমাদের সবযোদ্ধা জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এর ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে মিনি স্টেডিয়াম নিহত ফারুকের নামে করার দাবি
টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে নিহত বিএনপির নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলা বিএনপি ও দ্যাইনা ইউনিয়নের জনগণের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে দ্যাইনা ইউনিয়নের বাসাখানপুর গ্রামে নির্মিত টাঙ্গাইল মিনি স্টেডিয়ামটি রফিকুল ইসলাম ফারকের নামে নামকরণের দাবি জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, নিহতের ভাই ও দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজিমুদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনা ঢুকলে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হবে: আখতার
কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুককে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেন। হাসিনার সরকার ক্ষমতা থাকার কারণে ফারুক হত্যার আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। ছানোয়ার হোসেন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।
বক্তারা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনকে ফারুক হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখালে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।
নিহত ফারুকের নামে সদর উপজেলায় বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম নামকরণের দাবি করেন বক্তারা।
ঢাকা/কাওছার/বকুল