পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) প্রতিবেশী দেশ দুটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম ডন।  

পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএএ) একটি নোটাম (বিমানকর্মীদের প্রতি নোটিশ) জারি করে বলেছে, ভারতীয় বিমানের আকাশসীমা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৪ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হয়নি: বিক্রম মিশ্রি

হামলার আগে পাকিস্তানকে জানিয়েছিল দিল্লি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় ভারতে

পিএএ জানিয়েছে, “পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে ভারতীয় বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ২৪ জুন, ২০২৫ ভোর ৪:৫৯ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।” 

নোটামে বলা হয়েছে, “আকাশসীমা ব্যবহারের ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের নিবন্ধিত, পরিচালিত, মালিকানাধীন অথবা ভাড়া দেওয়া সব ধরনের বিমানের জন্য প্রযোজ্য হবে। এমনকি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিমানের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।”

এই নির্দেশের অধীনে, ভারতীয় বিমান সংস্থা বা অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত কোনো বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে প্রবেশ বা যাতায়াত করতে পারবে না।

এদিকে, শুক্রবার (২৩ মে) ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় একই ধরনের নোটাম জারি করে বলেছে, “সামরিক বিমানসহ পাকিস্তানের নিবন্ধিত, পরিচালিত, মালিকানাধীন অথবা ভাড়া দেওয়া সব ধরনের বিমান আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত ভারতের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ থাকবে।”

গত ২৪ এপ্রিল, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের জেরে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। ভারত ও পাকিস্তান প্রথমবারের মতো গত মাসে আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর শুক্রবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি ঘোষণা দিলো।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে আসছে ২৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুকুক

আগামী ডিসেম্বরে আসছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক’। এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোচ্য সুকুক সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২০টি উপজেলার পল্লী এলাকায় সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ, পুনর্বাসন ও ঢাল রক্ষণাবেক্ষণ এবং হাট-বাজার ও পর্যটন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প এলাকায় কৃষি-অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন, গ্রামীণ এলাকার জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবহন ব্যয় ও সময় হ্রাস করা সম্ভব হবে। তাই, সুকুকটির নামকরণ ‘আইআরআইডিপিএনএফএল সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় দিল সরকার

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার: ইসি আনোয়ারুল

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৭ম 'বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক' ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি ড. মো. কবির আহাম্মদ। 

কমিটির সদস্যরা সুকুক ইস্যুর সম্মতি দিয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পটির বিপরীতে ইজারা পদ্ধতিতে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ৭ বছর মেয়াদি সুকুক ইস্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ হাজার কোটি টাকার মোট ছয়টি সুকুক ইস্যু করেছে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ