ইউক্রেনে রাতভর হামলায় নিহত ১২, রাশিয়াকে কঠিন চাপ দিতে বিশ্বের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান
Published: 25th, May 2025 GMT
ইউক্রেনে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার দিবাগত রাতে চালানো এসব হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া চলা অবস্থাতেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।
শনিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ একে ভয়ংকর রাত বলে উল্লেখ করেছে। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল মস্কো।
এমন এক সময়ে এ হামলা হলো, যখন কিয়েভ ও মস্কো বন্দী বিনিময়ের পথে এগোচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরুর পর থেকে এটি দুই দেশের সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়ের ঘটনা হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিতোমির এলাকায় নতুন রুশ হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন শিশু-কিশোরও আছে। তাদের বয়স ৮, ১২ ও ১৭ বছর।
আজ ভোরে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৬৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
হামলায় পশ্চিমাঞ্চলীয় খমেলনিতস্কি অঞ্চলে চারজন, কিয়েভ এলাকায় চারজন এবং দক্ষিণের মাইকোলাইভেও একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জরুরি পরিষেবাগুলো বলছে, কিয়েভে রাতভর বড় ধরনের হামলায় ৪ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন শিশু।
এএফপির সাংবাদিকেরা কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
এদিকে রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মস্কোর দিকে আসা অন্তত ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মস্কোতে প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেতিভোসহ অন্তত চারটি বিমানবন্দরে নতুন করে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রাশিয়া ইউক্রেনে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি ড্রোন ছোড়ে। ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
রুশ সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, মঙ্গলবার থেকে ইউক্রেন তাদের ওপর ৭৮৮টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার এই হামলায় বোঝা যাচ্ছে যে মস্কো যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। তিনি রোববার আন্তর্জাতিক নেতাদের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনে হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর এ আহ্বান জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘রুশ নেতৃত্বের ওপর সত্যিকারের ও কঠিন চাপ না থাকলে এই নির্মমতা থামানো সম্ভব নয়। নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই সহায়ক হবে।’
জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং সারা বিশ্বের সব শান্তিকামীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন মস্কোকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হয়।
জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেন, ১৬ মে ইস্তাম্বুলে আলোচনায় সম্মত বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
শনিবার কিয়েভ ও মস্কোর ঘোষণায় জানা যায়, ৩০৭ জন রুশ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে একই সংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার প্রথম পর্যায়ে উভয় পক্ষই ৩৯০ জনকে মুক্তি দেয়। প্রত্যেক পক্ষ ১ হাজার জন করে বন্দী বিনিময়ের পরিকল্পনা করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র দ ব গত র ত ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া’
মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, ‘প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন’।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম।
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি ফারহানা দেওয়ান, জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালে হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ প্রমুখ।
প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা/মেহেদী