রাখাইনে মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে না করেছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, করিডর ও বন্দর বিষয়ে আমরা না বলেছি। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে আমরা কোনো কিছুতে হ্যাঁ বলব না। দেশের স্বার্থ যেখানে বিক্রি হবে, সেখানে নো। নির্বাচিত সরকারের যদি এ ধরনের কোনো ইস্যু থাকে তাহলে পার্লামেন্ট সেই সিদ্ধান্ত নেবে। 

তিনি আরও বলেন, শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ডা.

শফিকুর বলেন, চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। সরকারে যারা যায় তারা কি শ্রমিকদের ভোট নেন না। যদি নিয়ে থাকেন তাদেরকেও অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমান সুযোগ দিতে হবে। চা-শ্রমিকরা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। 

কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মাওলানা ফখরুল ইসলাম, রাজধানীর পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান, মৌলভীবাজার জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ আলী, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। 

এর আগে সকালে জামায়াত আমির ব্রাহ্মণবাজারে এক নারী সমাবেশে অংশ নেন। আর মতবিনিময় শেষ দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র জ ম য় ত আম র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। দলীয় প্রতীক ‘দেয়াল ঘড়ি’ নিয়ে তারা নির্বাচন করবেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর জিন্দাবাজারের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও দলের বর্তমান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাসউদ খান ঘোষণা করেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মোহাম্মদ ফজর আলী, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জেলার সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোহন, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে লন্ডন মহানগর খেলাফতের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুশতাক আহমদ, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে যুক্তরাজ্যের লুটন শাখা খেলাফতের সহ-সেক্রেটারি মাওলানা আমিরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে লন্ডন মহানগর খেলাফতের সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কাদির।

সিলেট-১ আসনে মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, সিলেট-২ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সিলেট-৩ আসনে জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, সিলেট-৪ আসনে কেন্দ্রীয় ওলামাবিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, সিলেট-৫ আসনে জেলার উপদেষ্টা মুফতি আবুল হাসান, সিলেট-৬ আসনে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ শাখা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান। মৌলভীবাজার-১ আসনে কাতার খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মাওলানা লুকমান আহমদ, মৌলভীবাজার-২ আসনে অধ্যক্ষ সাইফুর রহমান খোকন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মাওলানা আহমদ বিলাল ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে মাওলানা নূরুল মুত্তাকীন জুনায়েদ।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম জাকি, হবিগঞ্জ-২ আসনে জেলা আমির মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ, হবিগঞ্জ-৩ আসনে জেলা সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার রহমান চৌধুরী ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ