অ্যাপল নিজস্ব উদ্ভাবনে এমন ঘড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, যা চারপাশের অনেক কিছুই দক্ষতার সঙ্গে চটজলদি বিশ্লেষণ করবে। সে জন্য হাতঘড়িতে জুড়ে দেওয়া হয় লুকায়িত ক্যামেরা। খবরে প্রকাশ, আপাতত অ্যাপল এমন উদ্ভাবনা থেকে বিরত থাকছে। তবে এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি নির্মাতা।
অনেকে বলছেন, এমন উদ্ভাবনার গোপন খবর আগেই ছড়িয়ে পড়ায় অ্যাপল কিছুটা বিরতি নিল। স্থগিত করেছে মানে একেবারে প্রত্যাহার করেনি। অ্যাপল ওয়াচ এবং ওয়াচ আলট্রা মডেল তৈরি করছে, যা গ্রাহকের পরিবেশ বিশ্লেষণের জন্য ক্যামেরা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হুট করেই এমন গবেষণা থেকে অ্যাপল সরে যাওয়ার খবর ভক্তদের কিছুটা হলেও হতাশ করেছে। জানা গেছে, ঘড়িতে থাকা সব ধরনের ক্যামেরা ফেসটাইম বা ফটোগ্রাফির জন্য ছিল না। বস্তুগত তথ্য-উপাত্তের সঠিক বিশ্লেষণে ক্যামেরা তথ্যচিত্র ও ব্যাখ্যায় দক্ষতা দেখাবে বলে
ধারণা করা হয়েছিল।
ঘড়িতে সামনে-পেছনের ক্যামেরায় অ্যাপল ওয়াচ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগাত বলে আগেই অনুমান করা হয়েছিল। যেমন কোনো রেস্তোরাঁর কাজের সময় পরীক্ষা করা, গাছপালা নাম শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করা, বস্তুগত বিষয়ে বিশদ সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে পথে চলতে চলতেই। করবে ভাষাগত অনুবাদ। যার বহুমাত্রিকতা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের মতো হতো। আর এসব কাজ সবই হতো নিজের ব্যবহৃত স্মার্টফোন ছাড়া। অর্থাৎ স্মার্টঘড়িতে আরেক ধাপে পৌঁছে দিত অ্যাপল। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালে অ্যাপল এমন ক্যামেরা বৈশিষ্ট্যের অ্যাপল ঘড়ি সবার জন্য উন্মুক্ত করবে। অদূর ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি দৃশ্যমান হতে পারে। কিন্তু আপাতত অ্যাপল এ বিষয়ে নিজেকে আড়ালেই নিয়ে গেল। অ্যাপল স্মার্টঘড়িতে ক্যামেরার মানোন্নয়ন নিয়ে আরও সুদূর গবেষণা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। অন্যদিকে, ডিভাইসের ভেতরে অ্যাপল ক্যামেরাযুক্ত এয়ারপড তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের সূক্ষ্ম ক্যামেরা সাধারণত ইনফ্রারেড সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারে, যা বিশেষ কোড শব্দ আর অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে সহজে নিয়ন্ত্রণ ও কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলার প্রধান আসামি ডিএমপির সাবেক কমিশনার পলাতক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
হাবিবসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এদিন সকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে গাজী এমএইচ তামিম এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেন।
ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে।
মামলার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপনের পর ট্রাইব্যুনাল বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই অভিযোগটি আমলে নেওয়া হলো। ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর বিচারের আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেল। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই মামলার ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২১ এপ্রিল প্রসিকিউশনে জমা দেয়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গতকাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে তা দাখিল করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি হয়।