Samakal:
2025-11-03@21:36:07 GMT

অ্যাপল ঘড়িতে গোপন ক্যামেরা

Published: 25th, May 2025 GMT

অ্যাপল ঘড়িতে গোপন ক্যামেরা

অ্যাপল নিজস্ব উদ্ভাবনে এমন ঘড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, যা চারপাশের অনেক কিছুই দক্ষতার সঙ্গে চটজলদি বিশ্লেষণ করবে। সে জন্য হাতঘড়িতে জুড়ে দেওয়া হয় লুকায়িত ক্যামেরা। খবরে প্রকাশ, আপাতত অ্যাপল এমন উদ্ভাবনা থেকে বিরত থাকছে। তবে এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি নির্মাতা।
অনেকে বলছেন, এমন উদ্ভাবনার গোপন খবর আগেই ছড়িয়ে পড়ায় অ্যাপল কিছুটা বিরতি নিল। স্থগিত করেছে মানে একেবারে প্রত্যাহার করেনি। অ্যাপল ওয়াচ এবং ওয়াচ আলট্রা মডেল তৈরি করছে, যা গ্রাহকের পরিবেশ বিশ্লেষণের জন্য ক্যামেরা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হুট করেই এমন গবেষণা থেকে অ্যাপল সরে যাওয়ার খবর ভক্তদের কিছুটা হলেও হতাশ করেছে। জানা গেছে, ঘড়িতে থাকা সব ধরনের ক্যামেরা ফেসটাইম বা ফটোগ্রাফির জন্য ছিল না। বস্তুগত তথ্য-উপাত্তের সঠিক বিশ্লেষণে ক্যামেরা তথ্যচিত্র ও ব্যাখ্যায় দক্ষতা দেখাবে বলে 
ধারণা করা হয়েছিল।
ঘড়িতে সামনে-পেছনের ক্যামেরায় অ্যাপল ওয়াচ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগাত বলে আগেই অনুমান করা হয়েছিল। যেমন কোনো রেস্তোরাঁর কাজের সময় পরীক্ষা করা, গাছপালা নাম শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করা, বস্তুগত বিষয়ে বিশদ সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে পথে চলতে চলতেই। করবে ভাষাগত অনুবাদ। যার বহুমাত্রিকতা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের মতো হতো। আর এসব কাজ সবই হতো নিজের ব্যবহৃত স্মার্টফোন ছাড়া। অর্থাৎ স্মার্টঘড়িতে আরেক ধাপে পৌঁছে দিত অ্যাপল। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালে অ্যাপল এমন ক্যামেরা বৈশিষ্ট্যের অ্যাপল ঘড়ি সবার জন্য উন্মুক্ত করবে। অদূর ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি দৃশ্যমান হতে পারে। কিন্তু আপাতত অ্যাপল এ বিষয়ে নিজেকে আড়ালেই নিয়ে গেল। অ্যাপল স্মার্টঘড়িতে ক্যামেরার মানোন্নয়ন নিয়ে আরও সুদূর গবেষণা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। অন্যদিকে, ডিভাইসের ভেতরে অ্যাপল ক্যামেরাযুক্ত এয়ারপড তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের সূক্ষ্ম ক্যামেরা সাধারণত ইনফ্রারেড সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারে, যা বিশেষ কোড শব্দ আর অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে সহজে নিয়ন্ত্রণ ও কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য পল অ য পল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ