জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন,‘নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে—এটা কথা হতে পারে না; বরং, কথা এটি হতে পারে যে নির্বাচন স্বচ্ছ-সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সামগ্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে বিচার এবং সংস্কার পাশাপাশি চালিয়ে গিয়ে যখন এই সুষ্ঠু-স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়ার উপযুক্ত সময় হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে আগামী জুনের মধ্যে তখন যেন এটি হয়। দ্রুত নির্বাচন হবে, স্বচ্ছ সুষ্ঠু হবে না, তাহলে ওই নির্বাচন অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে একটি কলঙ্কে পরিণত হবে। সেটি আমরা আমাদের জায়গা থেকে চাইতে পারি না।’

আজ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক পথসভায় সারজিস আলম এ কথাগুলো বলেন। নীলফামারীর ছয় উপজেলায় এনসিপির পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ডোমার থেকে শুরু করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, সাদিয়া ফারজানা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিওন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে সারজিস আলম পথসভায় বলেন, ‘এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই। খুনি হাসিনার ফিরে আসার সুযোগ নেই। আসলে একটা কারণে আসবে, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য আসবে।’ বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভেতরে বিভাজন তৈরি করে এমন কোনো অযৌক্তিক অপ্রাসঙ্গিক কথা যেন না বলি। সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ সরাসরি কোনো দলের প্রতিনিধি নন। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি এবং এই রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক্রমে তাঁরা ওই সরকারে জায়গা পেয়েছেন।’

ডোমার উপজেলা শহরে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন এনসিপি নেতারা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ