জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু স্মৃতি, কিছু না বলা অনুভূতির জোয়ার। আর যদি সেই জন্মদিনের গল্পের নায়িকা হন জয়া আহসান, তবে তা হয়ে ওঠে আরও একটু বিশেষ, আরও একটু আলাদা। ১ জুলাই, জয়া আহসানের জন্মদিন। দুই বাংলার সিনেমার এই অনন্যা শিল্পী জন্মদিনের দিন ভাগ করে নিলেন তাঁর জীবনের নানা দৃষ্টিকোণ, পছন্দ, না বলা অনুভূতির গল্প বলে

জন্মদিনের সেরা উপহার

জন্মদিনে উপহার কে না ভালোবাসে! জয়ার কাছে এমনই একটি উপহার আজীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেটি একটি সিনেমার চিত্রনাট্য। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘ডিয়ার মা’র স্ক্রিপ্ট জন্মদিনের দিনই হাতে পেয়েছেন তিনি। পরিচালক নিজেই বলেছিলেন, ‘এটা তোমার জন্মদিনের উপহার।’ এমন উপহার জীবনে প্রথম, জানালেন জয়া।

যে উপহার পেলে সবচেয়ে খুশি হোন জয়া

জয়া বলেন, ‘কখনও রাস্তায় চলতে চলতে কোনো শাড়ি চোখে পড়ে, ভাবি কিনব। তারপর দেখি আমার কোনো বন্ধু সেটা কিনে নিয়েছে আমার জন্য-মন ভালো হয়ে যায়।’’ তবে উপহারে সবচেয়ে খুশি হন গাছ পেলে। সেটাই তাঁর প্রকৃত ভালো লাগা।

এক চিঠির স্মৃতি

কলকাতার এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক অনন্য অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন জয়া। এক অভিনেত্রী একদিন বাড়িতে এসে, তাঁর অনুপস্থিতে, দরজার ফাঁক দিয়ে একটি চিঠি গুঁজে দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘তোমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে আমার ভালোই লাগে। অপেক্ষা করাই যায়.

..’ চিঠিটি আজও নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন জয়া। এমন অনুভবের মুহূর্ত খুব বেশি আসে না জীবনে।

মায়ের কথা মনে পড়তেই

ছোটবেলায় মাকে অনেক রঙচঙে চিঠি লিখতেন জয়া। মা পড়ে হেসে ফেলতেন, আবার সবাইকে পড়েও শুনাতেন। এখন লিখতে গেলে—‘‘কলম থেকে এক বর্ণও বেরবে না, সবটাই মনের মধ্যে থেকে যাবে। সবটাই অব্যক্ত।’’

এই প্রথম পায়েস

এবারই প্রথম জন্মদিনে জয়ার জন্য বিশেষভাবে রান্না হয়েছিল পায়েস। বানিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু মুনমুন। রাতে খাওয়ার কথা থাকলেও, আগেই বের করে অর্ধেক খেয়ে নিয়েছিলেন জয়া।

সবই খান জয়া

সুন্দর চেহারা ধরে রাখার রহস্য? জয়া হেসে বলেন, “আমি ডায়েটের কোনো চেষ্টা করি না। আমি খেতে ভালোবাসি। খাওয়া নিয়ে অত ভাবি না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় আহস ন র জন য উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে চাপাতি দিয়ে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু, দুজন আহত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে দুর্বৃত্তদের হামলায় মো. মিন্টু (২৫) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি মোহাম্মদপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৩ নম্বর ইউনিটের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।

পুলিশ বলছে, গতকাল সোমবার সকালে মিন্টুসহ তিনজনের ওপর চাপাতি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মো. জালাল ও নিলুফা আক্তার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনায় মিন্টু আহত হলেও সেটি তেমন গুরুতর মনে হয়নি। যদিও পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতির উল্টোপিঠ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। গতকাল সকালে তিনি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। পরে রাতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতেই তাঁকে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয। ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মিন্টুর স্ত্রী টুলু আক্তার একটি মামলা করেন। তাতে বলা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর টাউন হলে বিএনপির দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর একটি মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন মিন্টু। ওই মোটরসাইকেলে তুহিন জমাদার ও জহিরুল ইসলাম নামের দুজন ছিলেন। তাঁরা মিন্টুর ঘনিষ্ঠ। তাঁদের সবার বাসা মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লা ও তাজমহল রোডে। মোটরসাইকেলে করে তাঁরা তাজমহল রোডে এসে জটলা দেখেন। সেখানে জটলা কেন, কী হয়েছে—এই বিষয়টি মিন্টু তাঁর পরিচিত জালাল নামের এক ব্যক্তির কাছে জানতে চান। এ সময় জালালসহ কয়েকজন তাঁদের তিনজনের ওপর হামলা চালান। তুহিনের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। চাপাতির উল্টোপিঠের আঘাতে মিন্টু ও জহিরুল আহত হন। তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ