নরসিংদীর শিবপুরে সই জালিয়াতি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের টিআর-কাবিখা প্রকল্পের ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের বাড়ি থেকে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের কার্যসহকারী আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও পিয়ন আশিক ভূঁইয়া (২৫)। আরিফুল ইসলাম ওরফে তুহিন পৌর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও আশিক ভূঁইয়া খড়িয়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিআর-কাবিখার ৪৩০টি বিল পাস করে শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এসব বিল উত্তোলন করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিদের মধে৵ বিতরণ করার জন্য উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে জানানো হয়, ৪৩০টি বিলের মধ্যে ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আগেই উত্তোলন করা হয়ে গেছে।

পরে সোনালী ব্যাংকের শিবপুর শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট বিলের কপি ও ব্যাংকের পে-স্লিপ তলব করে একাধিক চিঠি পাঠান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন; কিন্তু এর কোনো জবাব না পেয়ে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সকে (এনএসআই)।

এনএসআইয়ের একটি দল তদন্ত করে দেখতে পায়, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে আরিফুল ইসলাম ও আশিক ভূইয়া জড়িত। এনএসআইয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংক শিবপুর শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে দুই কর্মচারী টিআর-কাবিখার ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

গতকাল বিকেলে আরিফুল ইসলাম ও আশিক ভুইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা দুজন অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্বাক্ষর জাল করে গত ২৭ মে ও ৪ জুন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁদের থানায় আটক রাখা হয়। গতকাল আরিফুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় গতকাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। ওই দুজনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ল ইসল ম কর মকর ত র ৫২ ল খ উপজ ল গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে সই জালিয়াতি করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ৫২ লাখ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

নরসিংদীর শিবপুরে সই জালিয়াতি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের টিআর-কাবিখা প্রকল্পের ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের বাড়ি থেকে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের কার্যসহকারী আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও পিয়ন আশিক ভূঁইয়া (২৫)। আরিফুল ইসলাম ওরফে তুহিন পৌর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও আশিক ভূঁইয়া খড়িয়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিআর-কাবিখার ৪৩০টি বিল পাস করে শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। এসব বিল উত্তোলন করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিদের মধে৵ বিতরণ করার জন্য উপজেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে জানানো হয়, ৪৩০টি বিলের মধ্যে ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আগেই উত্তোলন করা হয়ে গেছে।

পরে সোনালী ব্যাংকের শিবপুর শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট বিলের কপি ও ব্যাংকের পে-স্লিপ তলব করে একাধিক চিঠি পাঠান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন; কিন্তু এর কোনো জবাব না পেয়ে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সকে (এনএসআই)।

এনএসআইয়ের একটি দল তদন্ত করে দেখতে পায়, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে আরিফুল ইসলাম ও আশিক ভূইয়া জড়িত। এনএসআইয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংক শিবপুর শাখার কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে দুই কর্মচারী টিআর-কাবিখার ৮১টি বিলের ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

গতকাল বিকেলে আরিফুল ইসলাম ও আশিক ভুইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা দুজন অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্বাক্ষর জাল করে গত ২৭ মে ও ৪ জুন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন।পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁদের থানায় আটক রাখা হয়। গতকাল আরিফুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় গতকাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। ওই দুজনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ