নতুন গ্রহাণুর দিকে চোখ নাসার, ধেয়ে যাবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে এ সপ্তাহে
Published: 2nd, July 2025 GMT
পৃথিবীর বেশ কাছে চলে এসেছে ১২০ ফুট উঁচু বিমানের সমান একটি গ্রহাণু। গ্রহাণুর নাম ২০২৫ এমএম। এ সপ্তাহে গ্রহাণুটি বেশ কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন এই গ্রহাণুর দিকে। গ্রহাণুটি ১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে ভ্রমণ করবে। যদিও এ অবস্থান কোনো হুমকির বা ক্ষতিকর নয়। তবে গ্রহাণুর কক্ষপথের পরিবর্তন হলে সংকট তৈরি হতে পারে।
গ্রহাণু ২০২৫ এমএম বিমান আকারের গ্রহাণু। উচ্চবেগে সুনির্দিষ্ট পথে চলছে এটি। ১ জুলাই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে পৌঁছায়। মহাজাগতিক দিক থেকে এই দূরত্ব বেশ কাছাকাছি। চাঁদের চেয়ে পৃথিবী থেকে তিনগুণ বেশি দূরে অবস্থান করছে গ্রহাণুটি। গ্রহাণু ২০২৫ এমএম প্রায় ২৩ হাজার ৮৭৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভ্রমণ করছে। এই গতিতে ভ্রমণ করার কারণে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে দুই ঘণ্টার কম সময় লাগবে গ্রহাণুটির।
২০২৫ এমএম গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ১২০ ফুট বা ৩৬ মিটার, যা বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ডানার বিস্তৃতির সমান। মহাজাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বেশ ছোট গ্রহাণু। এই মাত্রার গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে বা গ্রহের পৃষ্ঠের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে প্রচুর ক্ষতি করতে পারে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ভাষ্যে, ২০২৫ এমএম গ্রহাণু অ্যাটেন পরিবারের অংশ। এদের কক্ষপথ সাধারণত সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে থাকে। এ ধরনের গ্রহাণুর কক্ষপথ সাধারণত পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। নাসা গ্রহাণুটিকে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু নয়’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। বেশ শক্তিশালী টেলিস্কোপ ও রাডার ব্যবহার করে গ্রহাণুটিকে ট্র্যাক করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাবাদে ৫৬% কৃষি জমির টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না
কৃষি উৎপাদনের আর্থিক মান বিবেচনায় চাষাবাদের জমির মাত্র ১ দশমিক ২০ শতাংশ প্রত্যাশিত স্তরে রয়েছে। ৪৩ দশমিক ১৭ শতাংশ গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আছে। চাষাবাদের বাকি ৫৬ শতাংশ জমিরই টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো–বিবিএস পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়ন পরিমাপে পরিচালিত 'উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫' নামের গবেষণা প্রতিবেদনটি সোমবার প্রকাশ করা হয়।
জমির মান নিয়ে উদ্বেগের কারণ থাকলেও খাদ্য নিরাপত্তা সূচক বেশ ইতিবাচক। জরিপ বলছে, ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ কৃষক পরিবার গত বছরে কোনো খাদ্য সংকটে পড়েনি। জমির নিরাপদ মালিকানা অধিকার রয়েছে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কৃষক পরিবারের, যা কৃষি খাতের সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একটি বড় উপাদান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাঠোয়ারী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মেদ মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিবিএসের 'টেকসই কৃষি পরিসংখ্যান (এসএএস)' প্রকল্পের অধীনে ২০ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষিজমির অনুপাত নিরূপণের লক্ষ্যে জরিপে সারা দেশের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা, পরিবেশগত টেকসই মান এবং জমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
জরিপ বলছে, দেশের ৭২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কৃষিজমিতে মাটির ক্ষয় লক্ষণীয়, যা কৃষি উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতায় বড় বাধা। পানির প্রাপ্যতার বিবেচনায় ৮১ দশমিক ৬৬ শতাংশ জমি ভালো অবস্থানে আছে। তবে সার ব্যবস্থাপনায় টেকসই পদ্ধতি অনুসরণের হার মাত্র ৫৭ শতাংশ। কীটনাশক ব্যবস্থাপনায় এ হার ৫১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক চাষাবাদ গ্রহণের হার ৭১ শতাংশ, যা পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি।