দ্বাদশ শ্রেণিতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন ‘দঙ্গল’-কন্যা ফাতিমা, অতঃপর...
Published: 2nd, July 2025 GMT
অনুরাগ বসুর নতুন সিনেমা ‘মেট্রো ইন দিনো’ মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে এর অভিনয়শিল্পীরা এসেছিলেন নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’তে। সেখানে অন্য নানা প্রসঙ্গের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে পড়াশোনার প্রসঙ্গও।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কপিল সরাসরি সারা আলী খানকে জিজ্ঞাসা করেন, অভিনয়ের আগে তিনি কী করতেন? সারা বলেন, ‘আমি তখন পড়াশোনা করছিলাম। ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অনেক কিছুই পড়েছি।’ তাঁর কথা শুনে ছবির আরেক অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ বলেন, ‘সারা সত্যিই শিক্ষিত মেয়ে। পড়াশোনায় খুব ভালো।’
কিন্তু নিজের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ফাতিমা অকপটে স্বীকার করেন, ‘আমি তো দ্বাদশ শ্রেণিতে অকৃতকার্য হওয়ার পর ড্রপআউট হয়ে যাই। তখন পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিলাম না। দ্বাদশ শ্রেণিতে মাত্র ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলাম।’
ফাতিমা সানা শেখ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইভিএম কেনায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বাজারমূল্যের চেয়ে দশ গুণ বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইভিএম কেনায় সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
বুধবার যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও গতকাল হাজির হননি। তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক ও আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এ এইচ এম আব্দুর রহিম খান।
কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন, কোনো সমীক্ষা ও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনে গুণগত মানসম্পন্ন ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে কিনা এবং প্রতিটি ইভিএমের মূল্য সঠিক ছিল কিনা– দুদক এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ টিম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ইসি ও মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।