গানে গানে আব্দুল হাদিকে সান্মান জানালেন খুরশীদ-রফিকুল আলমরা
Published: 2nd, July 2025 GMT
‘সূর্যোদয়ে তুমি’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘একবার যদি কেউ’, ‘যেও না সাথী’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘আমি তোমারই প্রেম ভিখারি’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘তেল গেল ফুরাইয়া’, ‘তোমরা কাউকে বলো না’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’-সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার।
বিশেষ এই দিনে বরেণ্য এই শিল্পী যুক্তিরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শিল্পীর প্রতি সন্মান জানাতে রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা দম্পতি তার বাসায় আয়োজন করেন এক ঘরোয়া আড্ডার।
এই আয়োজন আলোকিত করেন শিল্পী খুরশিদ আলম, আকরামুল ইসলাম, লিনু বিল্লাহসহ আরও অনেকে। এসময় তালি বাজিয়ে আব্দুল হাদির ‘আছেন আমার মোক্তার’ গানি ধরেন উপস্থিত সবাই। গিটার বাজিয়ে গানের তাল ধরেন রফিকুল আলমের ছেলে ফারশীদ আলম।
বিষয়টি নিয়ে রফিকুল আলম সমকালকে বলেন, ‘জন্মদিনে হাদি ভাইকে ভালোবাসা জানাতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার ছেলে ফারশীদই ছিল আয়োজনের উদ্যোগক্তা। ওই আয়োজনে বসেই আমার হাদি ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবসততাকে আমরা পাইনি। সবাই তাকে অনেক মিস করেছে।’
তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে তাদের আড্ডা। আনন্দঘন সেই মূহুর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেননি রফিকুল আলম। গিটারের সঙ্গে গাওয়া গানের ভিডিও আজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রফিকুল আলম।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সংগীত ব্যক্তিত্ব হাদি ভাই এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণরত। গতকাল ছিলো তার জন্মদিন। খুরশিদ আলম, আবিদা সুলতানা, আকরামুল ইসলাম, লিনু বিল্লাহ, এবং আমার ছেলে ফারশীদ গীটার বাজিয়ে আমার বাসায় ভিন্নভাবে ওনাকে স্মরণ করলাম আমার বাসায়।’
প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া সৈয়দ আব্দুল হাদী হতে চেয়েছিলেন একজন শিক্ষক। কিন্তু জীবনের গতিপথ বদলে গেছে গানের ভুবনে পা রাখার পর। কখনও ভাবতে পারেননি, শখের বশে গান গাইতে গিয়ে কণ্ঠশিল্পী পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবেন। তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর কণ্ঠ আর অনবদ্য গায়কি যখন শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেওয়া শুরু করে, তখন আর চলার পথ বদলে ফেলার সুযোগ পাননি। ততদিন নিজেও সংগীতের প্রেমে ডুবে গিয়েছিলেন। অনুভব করেছিলেন, শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের প্রতি তাঁর এক ধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সে কারণে নিরলস গান করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের আত্মজীবনীতেও এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত সৈয়দ আব্দুল হাদী। তিনি শিল্পী হিসেবে শুধু গান গেয়ে যাওয়া নয়, সংগীত ভুবনে নতুন কিছু তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিষয়েও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গানে গানে আব্দুল হাদিকে সান্মান জানালেন খুরশীদ-রফিকুল আলমরা
‘সূর্যোদয়ে তুমি’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘একবার যদি কেউ’, ‘যেও না সাথী’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘আমি তোমারই প্রেম ভিখারি’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘তেল গেল ফুরাইয়া’, ‘তোমরা কাউকে বলো না’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’-সহ অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার।
বিশেষ এই দিনে বরেণ্য এই শিল্পী যুক্তিরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শিল্পীর প্রতি সন্মান জানাতে রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা দম্পতি তার বাসায় আয়োজন করেন এক ঘরোয়া আড্ডার।
এই আয়োজন আলোকিত করেন শিল্পী খুরশিদ আলম, আকরামুল ইসলাম, লিনু বিল্লাহসহ আরও অনেকে। এসময় তালি বাজিয়ে আব্দুল হাদির ‘আছেন আমার মোক্তার’ গানি ধরেন উপস্থিত সবাই। গিটার বাজিয়ে গানের তাল ধরেন রফিকুল আলমের ছেলে ফারশীদ আলম।
বিষয়টি নিয়ে রফিকুল আলম সমকালকে বলেন, ‘জন্মদিনে হাদি ভাইকে ভালোবাসা জানাতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার ছেলে ফারশীদই ছিল আয়োজনের উদ্যোগক্তা। ওই আয়োজনে বসেই আমার হাদি ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবসততাকে আমরা পাইনি। সবাই তাকে অনেক মিস করেছে।’
তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে তাদের আড্ডা। আনন্দঘন সেই মূহুর্ত ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেননি রফিকুল আলম। গিটারের সঙ্গে গাওয়া গানের ভিডিও আজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রফিকুল আলম।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সংগীত ব্যক্তিত্ব হাদি ভাই এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণরত। গতকাল ছিলো তার জন্মদিন। খুরশিদ আলম, আবিদা সুলতানা, আকরামুল ইসলাম, লিনু বিল্লাহ, এবং আমার ছেলে ফারশীদ গীটার বাজিয়ে আমার বাসায় ভিন্নভাবে ওনাকে স্মরণ করলাম আমার বাসায়।’
প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালের এই দিনে জন্ম নেওয়া সৈয়দ আব্দুল হাদী হতে চেয়েছিলেন একজন শিক্ষক। কিন্তু জীবনের গতিপথ বদলে গেছে গানের ভুবনে পা রাখার পর। কখনও ভাবতে পারেননি, শখের বশে গান গাইতে গিয়ে কণ্ঠশিল্পী পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাবেন। তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর কণ্ঠ আর অনবদ্য গায়কি যখন শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেওয়া শুরু করে, তখন আর চলার পথ বদলে ফেলার সুযোগ পাননি। ততদিন নিজেও সংগীতের প্রেমে ডুবে গিয়েছিলেন। অনুভব করেছিলেন, শিল্পী হিসেবে শ্রোতাদের প্রতি তাঁর এক ধরনের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সে কারণে নিরলস গান করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের আত্মজীবনীতেও এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত সৈয়দ আব্দুল হাদী। তিনি শিল্পী হিসেবে শুধু গান গেয়ে যাওয়া নয়, সংগীত ভুবনে নতুন কিছু তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিষয়েও বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।