বাংলাদেশের বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। আগে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এসব প্রতিষ্ঠান ১০০ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ৫০ টাকা ঋণ নিতে পারত। এখন তা বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। ফলে দেশীয় উৎস, অর্থাৎ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশি কোম্পানির ঋণের সুযোগ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উৎপাদন বা সেবা কার্যক্রমে তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে নিয়োজিত আছে, এমন বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষমতা আধুনিকায়ন করা বা বিএমআরইয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মেয়াদি ঋণ নিতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণনীতি ও সতর্কতামূলক নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে একক ঋণগ্রহীতা সীমা এবং ঋণ-মূলধন অনুপাত ৫০: ৫০–এর বেশি না হওয়া অন্যতম।

নতুন নির্দেশনা অনুসারে, এখন বিদেশি মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় ঋণ গ্রহণকে সহজ করার জন্য ঋণ-ইকুইটি অনুপাত ৫০: ৫০ থেকে ৬০: ৪০–এ উন্নীত করা হয়েছে। ফলে ১০০ টাকা বিনিয়োগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ টাকা ঋণ নিতে পারবে, এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই দেশে তুলনামূলক ভালো করছে। তারা অনেক নতুন প্রযুক্তি ও করপোরেট চর্চার পথিকৃৎ। এখন পুনর্বিনিয়োগের জন্য নিজ দেশ থেকে অর্থ আনাটা চ্যালেঞ্জিং। এ জন্য তাদের ঋণের সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ঋণ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ