পন্য বিক্রিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ টিসিবি ডিলার সুবিধাভোগীদের  কাছে মাসে ২ বার পন্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে টিসিবি কার্ডধারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ট্রিপে ৬০/৭০ জন টিসিবি পন্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

টিসিবির কার্ডধারীরা পন্য নিতে এসে নানা ভাবে  বিভ্রান্তি শিকার হচ্ছে। টিসিবি কার্ডটি ডিলার যখন স্ক্যান করেন তখন বলেন আপনার কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। পরের ট্রিপে এসে মাল নিবেন। এভাবে অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।

পরবর্তি ট্রিপে আরেক ডিলার যখন মাল নিয়ে আসেন তখন কার্ডধারীরা কার্ড নিয়ে এলে ঐ ডিলার কার্ড স্ক্যান করে বলে দেন আপনি আগের ট্রিপে মাল নিয়ে গেছেন। আমরা কার্ড আগের ট্রিপে একটিভ হয়েছে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা মাল না পেয়ে লাঞ্চনা  বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের  ২৩নং ওয়ার্ডে গত ২ মাস যাবত এমন অবস্থা চলছে।

অভিযোগ রয়েছে কার্ডধারীদের মাল না দিয়ে এ সকল মাল বাইরে বেশী দামে বিক্রি করে কার্ডধারীদের ঠকাচ্ছে।

নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে টিসিবি পন্য নিতে আসা জয়ন্তি রানী, উজ্জল, মনির, মিতু রানী, শান্ত দাস জানান, গত ২৫ জুন আমরা মাল নিতে আসলে ডিলার শফি বলেন আপনাদের কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। তাই তারা ফিরে যান।

পরবর্তিতে গত ২৯ জুন ডিলার মৌসুমী টিসিবি পন্য নিয়ে আসলে তাদের কার্ড স্ক্যান করলে বলেন আপনারা ২৫ জুন মাল নিয়ে গেছেন। এ ভাবে ডিলাররা কার্ড কারসাজি করে টিসিবি পন্য বেশী দামে অন্যত্র বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যপারে ডিলার মৌসুমী বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যতগুলি কার্ড স্ক্যান করি ততটা মাল বিক্রি করতে পারি। কার্ড স্ক্রান করে মাল না দেয়ার বিষয়ে বলেন, বর্তমানে সার্ভার সমস্যা করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, টিসিবি পন্য বিক্রির এ জটিলতার কথা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যারা প্রকৃত টিসিবি পন্য পাওয়ার যোগ্য তাদের অনেকে পাচ্ছেন না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

আর সিটি করর্পোরেশন এরিয়ার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাখে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ক য ন কর ন আপন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।

জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।

দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
  • দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩