বন্দরে টিসিবি পন্য নিয়ে কারসাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
Published: 2nd, July 2025 GMT
পন্য বিক্রিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ টিসিবি ডিলার সুবিধাভোগীদের কাছে মাসে ২ বার পন্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে টিসিবি কার্ডধারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি ট্রিপে ৬০/৭০ জন টিসিবি পন্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
টিসিবির কার্ডধারীরা পন্য নিতে এসে নানা ভাবে বিভ্রান্তি শিকার হচ্ছে। টিসিবি কার্ডটি ডিলার যখন স্ক্যান করেন তখন বলেন আপনার কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। পরের ট্রিপে এসে মাল নিবেন। এভাবে অনেককে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
পরবর্তি ট্রিপে আরেক ডিলার যখন মাল নিয়ে আসেন তখন কার্ডধারীরা কার্ড নিয়ে এলে ঐ ডিলার কার্ড স্ক্যান করে বলে দেন আপনি আগের ট্রিপে মাল নিয়ে গেছেন। আমরা কার্ড আগের ট্রিপে একটিভ হয়েছে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা মাল না পেয়ে লাঞ্চনা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে গত ২ মাস যাবত এমন অবস্থা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে কার্ডধারীদের মাল না দিয়ে এ সকল মাল বাইরে বেশী দামে বিক্রি করে কার্ডধারীদের ঠকাচ্ছে।
নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডে টিসিবি পন্য নিতে আসা জয়ন্তি রানী, উজ্জল, মনির, মিতু রানী, শান্ত দাস জানান, গত ২৫ জুন আমরা মাল নিতে আসলে ডিলার শফি বলেন আপনাদের কার্ড সার্ভার নিচ্ছে না। তাই তারা ফিরে যান।
পরবর্তিতে গত ২৯ জুন ডিলার মৌসুমী টিসিবি পন্য নিয়ে আসলে তাদের কার্ড স্ক্যান করলে বলেন আপনারা ২৫ জুন মাল নিয়ে গেছেন। এ ভাবে ডিলাররা কার্ড কারসাজি করে টিসিবি পন্য বেশী দামে অন্যত্র বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যপারে ডিলার মৌসুমী বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যতগুলি কার্ড স্ক্যান করি ততটা মাল বিক্রি করতে পারি। কার্ড স্ক্রান করে মাল না দেয়ার বিষয়ে বলেন, বর্তমানে সার্ভার সমস্যা করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, টিসিবি পন্য বিক্রির এ জটিলতার কথা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যারা প্রকৃত টিসিবি পন্য পাওয়ার যোগ্য তাদের অনেকে পাচ্ছেন না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
আর সিটি করর্পোরেশন এরিয়ার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাখে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ক য ন কর ন আপন
এছাড়াও পড়ুন:
উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।
সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’
আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’
আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’
২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।
মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো, যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।