পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ৪৭টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে নির্ধারিত নতুন সময়ের মধ্যে উল্লিখিত ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে হবে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পক্ষ থেকে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) অনুরোধ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সুপারিশের আলোকেই বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) বিএসইসি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

১০ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

পুঁজিবাজারে সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা ৩০৯টি। এর মধ্যে নিয়মিত লেনদেন পরিচালনা করে ৩০১টি। ওই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই ৪৭টি ব্রোকারেজ হাউজের মধ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৭টি, ১৫ আগস্টের মধ্যে ১০টি, ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ব্রোকারেজ হাউজগুলোর স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন মেয়াদে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময় বাড়িয়েছে বিএসইসি।”

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৭টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিকে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে গত ২৯ জুন ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে দুই মাস সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় ডিবিএ। ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই বিএসইসির কাছে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায় ডিএসই।

তার আগে গত ৩০ এপ্রিল বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৪তম কমিশন সভায় ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির সঙ্গে সিডিবিএলে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্য ও স্টক ব্রোকারের কাছে রক্ষিত শেয়ার বা সিকিউরিটিজের তথ্যের মধ্যকার গরমিল হ্রাস পাবে বলে মনে করে বিএসইসি।

ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত বর্তমান সময়সীমা ৩০ জুন। এই সময়সীমা শেষের পথে। তাই আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্যানেলভুক্ত সফটওয়্যার বিক্রেতাদের (ভেন্ডর) সীমিত সম্পদের কারণে, তারা সব ব্রোকারেজ হাউজকে একযোগে সফটওয়্যার বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটির কারণে কার্যক্রমের অগ্রগতি বিলম্বিত হয়েছে।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ব্রোকারেজ হাউজ ইতিমধ্যে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের নিজ নিজ প্যানেলভুক্ত বিক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে, উপরে উল্লিখিত সীমাবদ্ধতার কারণে কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে, বিএসইসির নির্দেশ অনুসারে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার সফল ও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সহজতর করার লক্ষ্যে এ সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন,“৪৭টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিএসইসি নতুন করে সময় বাড়িয়েছে।সফটওয়্যার বাস্তবায়নের অগ্রগতি অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর স্বার্থ বিবেচনা করে ডিবিএর অনুরোধ রাখায় বিএসইসির প্রতি কৃতজ্ঞতা।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ক র জ হ উজগ ল র ব র ক র জ হ উজক ব এসইস র র পর প র ন র জন য সময স ম উল ল খ অন র ধ আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লুটুথের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে মাইক্রোফোনে গোপনে আড়ি পাতার আশঙ্কা

ব্লুটুথ প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন অডিও যন্ত্রে এমন কিছু নিরাপত্তার ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ফোনের সংযোগ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। ফলে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে গোপনে আড়ি পাতার পাশাপাশি সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

জার্মানির সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইআরএনডব্লিউ জানিয়েছে, অন্তত ১০টি ব্র্যান্ডের ২৯টি অডিও যন্ত্রে ব্যবহৃত একটি নির্দিষ্ট ব্লুটুথ চিপসেটে এই ত্রুটিগুলো রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে হেডফোন, ইয়ারবাড, স্পিকার ও তারহীন মাইক্রোফোন। এসব যন্ত্র উৎপাদন করেছে বেয়ারডায়নামিক, বোস, সনি, মার্শাল, জাবরা, জেবিএল, জেল্যাব, ইয়ারিসম্যাক্স, মোয়ারল্যাবস ও টয়ফেল।

গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব যন্ত্রে ব্যবহৃত এয়ারোহা নামের একটি সিস্টেম অন চিপে (এসওসি) তিনটি নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘাটতির কারণে কোনো হ্যাকার সংযোগ সীমার মধ্যে থাকলে ব্লুটুথ লিংক কী সংগ্রহ করে ফোনের সঙ্গে ডিভাইসটির সংযোগ হাইজ্যাক করতে পারে। এই সংযোগ কাজে লাগিয়ে ফোনের কল ইতিহাস, কন্ট্যাক্ট তালিকা ও অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। শুধু তা–ই নয়, মাইক্রোফোনের মাধ্যমে আশপাশের কথোপকথনেও আড়ি পাতা সম্ভব।

সম্প্রতি জার্মানির হাইডেলবার্গে অনুষ্ঠিত ট্রুপার্স–২০২৫ সম্মেলনে এই ত্রুটিগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেখানে ইআরএনডব্লিউর গবেষকেরা জানান, তাঁরা একটি এক্সপ্লয়েট তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে তাঁরা হেডফোনে তখন চলমান অডিও স্ট্রিম পড়ে নিতে পারেন। একই সঙ্গে তাঁরা ফোনে কল চালু করতে, কল রিসিভ করতে ও আশপাশের শব্দে আড়ি পাতার কার্যক্রম চালাতেও সক্ষম হন। গবেষকেরা আরও বলেন, হ্যাকাররা চাইলে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রের ফার্মওয়্যার পরিবর্তন করে দূর থেকে কোড চালানোর সক্ষমতাও অর্জন করতে পারে।

গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, বাস্তবে এ ধরনের আক্রমণ চালাতে হ্যাকারকে ব্লুটুথ সংযোগের কাছাকাছি থাকতে হয় এবং এতে অত্যন্ত উচ্চ প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন হয়। ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি না হলেও কূটনৈতিক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী কিংবা উচ্চ নিরাপত্তাসংক্রান্ত পেশায় যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এই ঝুঁকি বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয় হতে পারে।

তবে এরই মধ্যে এয়ারোহা তাদের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট হালনাগাদ করেছে। পাশাপাশি যন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা প্যাচ প্রস্তুত ও বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে জার্মান প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম হাইজে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ডিভাইসে এখনো মে মাসের ২৭ তারিখ বা তার আগের সংস্করণের ফার্মওয়্যার চালু রয়েছে। এরপর এয়ারোহার হালনাগাদ সফটওয়্যার এনেছে। ফলে সেসব ডিভাইস এখনো ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে।

সূত্র: ব্লিপিংকম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব
  • শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো থাকলেও সফটওয়্যার ভালো ছিল না
  • পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যৌথ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: বিএসইসি
  • ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অবৈধ শেয়ার ইস্যু, তদন্ত করবে বিএসইসি
  • রূপালী ব্যাংকে সরকারের মালিকানা বাড়ছে, কমছে সাধারণের অংশ
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
  • ব্লুটুথের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে মাইক্রোফোনে গোপনে আড়ি পাতার আশঙ্কা
  • ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে আরো ২ মাস সময় চায় ডিবিএ