শেকৃবিতে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রের প্রদর্শনী
Published: 2nd, July 2025 GMT
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির অবদান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের পাশাপাশি টিএসসি প্রাঙ্গণে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীজ বপন, ফসল কর্তনসহ নানা ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রের কার্যকারিতা, সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরো পড়ুন:
জবিতে রাত ১০টার পর অবস্থান নিষেধ
বাকৃবিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৭.
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান। তিনি তার উপস্থাপনায় বারি উদ্ভাবিত ৭১টি কৃষি যন্ত্রের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এর মধ্যে, ৫৫টি যন্ত্রের উদ্ভাবন সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৬টি যন্ত্র নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে।
বারির ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট-হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগের অর্থায়নে ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশের কৃষিতে ড্রোন প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে দেশের কৃষি প্রকৌশলীদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই শেকৃবিতে কৃষি প্রকৌশল অনুষদ চালু হতে যাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী।
সেমিনারে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বারির এফএমপিই বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুরুল আমিন।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই দশক পর
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক জন্মভূমি দিয়ে আলোচনায় আসেন সোহেল আরমান। ১৯৯৪ সালে প্রচারিত নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। এরপর বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় কয়েকটি নাটক পরিচালনা ও অভিনয় করেন। সর্বশেষ ২০০২ সালে তাঁকে নাটকে দেখা গেছে। দুই দশক পর বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় ফিরলেন সোহেল আরমান। গত রোববার থেকে প্রচার শুরু হয়েছে তাঁর পরিচালিত ও অভিনীত ধারাবাহিক ‘জল জোছনা’। জানা গেছে, সপ্তাহে তিন দিন নাটকটি প্রচারিত হবে।
বিরতির পর গত ঈদুল ফিতরে বিটিভির জন্য নির্মাণ করেন টেলিছবি ‘জলপরী’। এবার নির্মাণ করলেন ধারাবাহিক নাটক। সোহেল আরমান জানালেন, প্রাথমিকভাবে ৫২ পর্বে এই নাটকের নির্মাণ শেষ হবে। এরই মধ্যে ঢাকার নবাবগঞ্জে ২৫ পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। নতুন এই ধারাবাহিক নিয়ে সোহেল আরমান বলেন, এটি পারিবারিক গল্পের ভালোবাসার অন্তর্দ্বন্দ্বের নাটক। গল্পে দেখা যাবে, একটি মানুষের দুটি অধ্যায়। একটি অতীত, অন্যটি বর্তমান। এক দুর্ঘটনায় সে তার অতীতের সবকিছু ভুলে যায়। এই সংকটের ওপর ভর করে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
আরও পড়ুনশুরু হচ্ছে ‘সংবাদ’১৯ মে ২০২৪সোহেল আরমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বিটিভির নাটক নির্মাণ করতে গিয়ে ভীষণ আবেগময় মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছি। বিটিভির যাঁরা পুরোনো কর্মকর্তা–কর্মচারী আছেন, যাঁরা আমার আব্বাকে (আমজাদ হোসেন) ভীষণ সম্মান করতেন, আমাকেও অনেক স্নেহ করতেন, তাঁরাই আমাকে বারবার অভিনয় করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তাঁদের কথা শুনে চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি তাঁদের কথা দিয়েছিলাম, অভিনয় করব। অবশেষে ফিরছি। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো যখন ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছিলাম, তখন পুরো ইউনিটে ছিল পিনপতন নীরবতা। সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে।’
‘জল জোছনা’ ধারাবাহিকে আরও অভিনয় করেছেন আবু হুরায়রা তানভীর, শানারেই দেবী শানু, রিফাত জাহান প্রমুখ।