আদিবাসী তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিন দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার থেকে মঙ্গলবার কক্সবাজারের রামাদা হোটেলে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিয়ন (ক্রিহ্যাপ) এ কর্মশালার আয়োজন করে। সহায়তায় ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংগঠন ‘জাবারাং কল্যাণ সমিতি’। এতে চাকমা, ত্রিপুরা ও রাখাইন সম্প্রদায়ের ২০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেন। 

কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান সুসান ভাইজ বলেন, তরুণরা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানের পরিবর্তনেরও অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। এই কর্মশালাটি আদিবাসী তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যেখানে তারা কমিউনিটিভিত্তিক ইনভেন্টরি পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ পাবে।

কর্মশালাটি পরিচালনায় ছিলেন ইউনেস্কো স্বীকৃত আইসিএইচ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ শুভা চৌধুরী এবং   লেখক ও গবেষক রিফাত মুনিম। অংশগ্রহণকারীরা এই সময়কালজুড়ে তাত্ত্বিক আলোচনা, দলীয় কার্যক্রম এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তব চর্চার সমন্বয়ে একটি নিবিড়ভাবে শেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। 

ভার্চুয়াল বক্তব্যে ক্রিহ্যাপ প্রতিনিধি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরুণরা জীবন্ত ঐতিহ্য বোঝার এবং এর ইনভেন্টরি তৈরির সঠিক পদ্ধতি শিখবে। এর মাধ্যমে তারা তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যিক উপাদানগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং যোগাযোগ ও নথিভুক্তকরণ দক্ষতা আরও উন্নত করতে পারবে। ঐতিহ্যিক

কর্মশালার সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ লাম্প্রা ত্রিপুরা এই কর্মশালায় শিখেছি কীভাবে আমাদের সংস্কৃতির মূল্যবান অংশগুলো সংরক্ষণ করতে হয়। পদ্ধতিগুলো শিখে খুবই আনন্দিত।

রাখাইন তরুণ ম্রাঙয়েউ বলেন, ঐতিহ্যকে কেবল উৎসব বা শিল্প নয়, বরং অস্তিত্ব রক্ষার অংশ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পেয়েছি এই কর্মশালায়।

চাকমা তরুণী হেমা চাকমা বলেন, গান-নাচ ছাড়াও লোকশিল্প, কারুশিল্প, এমনকি সামাজিক প্রথাগুলোকেও যে চর্চা ও সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে—সেটা এবার পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আদ ব স

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন চলছে প্রতিভার উচ্ছ্বাস ‘মার্কস অলরাউন্ডার’। ‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগানে আয়োজিত দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্মটি শিশু-কিশোরদের নিজেদের সম্ভাবনা প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনটিও পাচ্ছে দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের দারুণ সাড়া। প্রতিযোগিতাটি তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। এরই মধ্যে অনেক স্থানে প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ নভেম্বর) ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও পঞ্চগড় অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।

তারিখ: ৭ নভেম্বর, শুক্রবার

ভেন্যু: কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলা।

ভেন্যু: কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাসপাতাল রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা।

ভেন্যু: ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, আকুয়া, ময়মনসিংহ।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (আকুয়া, সানকিপাড়া, কলেজ রোড, কাচিঝুলি, পুলিশ লাইনস, নয়াপাড়া, মাসকান্দা, দিগারকান্দা ও সুতিয়াখালী), মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা ও গফরগাঁও থানা।

তারিখ: ৮ নভেম্বর, শনিবার

ভেন্যু: ঝিনাইদহ নিউ একাডেমি স্কুল, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা।

ভেন্যু: ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ময়মনসিংহ সদরের একাংশ (টাউন হল, কাচারি, চরপাড়া, ব্রিজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়, পণ্ডিতপাড়া, মেছোয়া বাজার, ছোট বাজার ও বড় বাজার), গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া থানা।

ভেন্যু: নীলফামারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পিটিআই রোড, নীলফামারী সদর, নীলফামারী।

যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলা।

প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—

প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, নাটোর, পাবনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পঞ্চগড়, জামালপুর, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

পুরস্কার

মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে পাঁচ লাখ এবং তিন লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।

আয়োজকদের মতে, মার্কস অলরাউন্ডার শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের একটি অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শেখার, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার এবং ভবিষ্যতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।

বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে। ফোন করা যাবে (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) ০৯৬১৪৫১৬১৭১ নম্বরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
  • বিপিএল: দল পেতে টিকে গেল ৮ প্রতিষ্ঠান
  • মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
  • ব্র্যাকে ইন্টার্নশিপ, স্নাতক পাসে করুন আবেদন