শরীয়তপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন গণঅধিকারের ফিরোজ
Published: 2nd, July 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে জনমত গঠনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘ট্রাক মার্কা’য় প্রচারণা শুরু করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সী। তিনি শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) আসন থেকে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের দলের ২১ দফা কর্মসূচি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন ফিরোজ মুন্সী। তিনি নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে গণসংযোগ করেন।
লিফলেট বিতরণে শেষে অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সী বলেন, “আমি শরীয়তপুর-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত প্রার্থী। এই আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষের কাছে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তারা গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি ও নেতৃত্বকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। দেশের জন্য ভিপি নূর যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে নির্যাতিত হয়েছেন, তা আজ জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই কারণেই তাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও আস্থা তৈরি হয়েছে।”
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশের মানুষ প্রচলিত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতায় বিরক্ত। তারা পরিবর্তন চায়, নতুন নেতৃত্ব চায়। সেই লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে আগামীর বাংলাদেশ। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শরীয়তপুর জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন মাদবর, ডামুড্ড্যা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদসহ গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব