বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মেহেদী হাসান রাব্বী। ঘটনার প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও এখনো মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কোনো আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি বলে অভিযোগ শহীদের পরিবারের।

শহীদ রাব্বী মাগুরা জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাগুরা পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েদ উদ্দিনের ছেলে তিনি। 

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কথা হয় শহীদ রাব্বীর মা ষাটোর্ধ্ব সাহেলা বেগমের সঙ্গে। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “এক বছর আমার ছেলে রাব্বী মারা গেছে। এহনো কোনো বিচার আচার আমি পাইনি। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।” 

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-মাগুরা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদী ব্রিজের ওপর অবস্থান  নেন আন্দোলনকারী শিক্ষাথী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। 

এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন রাব্বী। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রদান রাব্বীকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরে রাব্বীকে দাফন করা হয়।

রাব্বী নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের নামে একই বছরের ১৩ আগস্ট রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই ইউনিস আলী। নাম না জানা আসামি করা হয় ১৫০ জনকে। 

মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই ইউনিস আলী বলেন, “পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। তারা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। একটি বছর শেষ হয়েছে, আমরা খুবই মর্মাহত।”

মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) মিনা মাহামুদা বলেন, “জুলাই-আগস্টে নিহতদের মামলায় একাধিক মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেখা যায়, কোনো কোনো মামলায় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে সময় লাগছে। পুলিশের তদন্ত চলামান।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের মুনাফা কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (১৬ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.০২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.১৪ টাকা বা ১৩.৭২ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২৪ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ০.৩৫ টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬৭ টাকা।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ