তিন ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে দাঁড়ালেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির নেতা–কর্মীরা। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ তাঁর কার্যালয় থেকে সড়কে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান। আজ বুধবার বিকেল পৌনে চারটা থেকে আন্দোলনকারীরা খুলশী থানার সামনে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১২টার মধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন ডিআইজি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সময় নিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে পটিয়ার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিআইজি। আশ্বাস পাওয়ার পর তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

সঞ্জয় সরকার আরও বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ডিআইজি। তদন্তের পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা ছিলেন। এতে সড়কের দুই পাশে যাত্রীরা আটকা পড়েন। তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হলে যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে রওনা হন।

সড়কে অবস্থানের সময় আন্দোলনকারীরা পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জানান। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁরা ডিআইজিকে তাঁর দোতলার কার্যালয় থেকে কার্যালয়ের সামনের সড়কে আসতে অনুরোধ করেন। দুজন অ্যাডিশনাল ডিআইজি আন্দোলনকারীদের বারবার অনুরোধ করেন ডিআইজির সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে; কিন্তু আন্দোলনকারীরা এতে রাজি হননি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সাজ্জাদ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মানুষের দাবি নিয়ে এসেছি। তাই রাস্তায় মানুষের সামনে তাঁর (ডিআইজি) কাছে দাবি তুলে ধরব; কিন্তু তিনি রাস্তায় কথা বলতে রাজি হননি।’

ডিআইজি রাস্তায় না আসায় আন্দোলনকারীরা ডিআইজি কার্যালয়ের পাশে খুলসী থানাসংলগ্ন জাকির হোসেন সড়কে অবস্থান নেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সড়কে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ডিআইজির সড়কে আলোচনার পর তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।

এর আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা ও বেলা সাড়ে ১১টায় পটিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে উভয় পক্ষ। তবে নেতা-কর্মীদের দাবি, পুলিশ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, নেতা-কর্মীরা ‘মব’ সৃষ্টি করছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন ন ন ড আইজ র স মন কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্র-জনতার ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ সাবেক মেয়রের, পুলিশে সোপর্দ

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ঘেরাও করেন ছাত্র-জনতা। পরে থানা ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে গিয়ে একটি ডোবাতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ধরে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রফিকুল ইসলাম তার ভবানীপুর মোড়লপাড়ার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে তার বাড়িটি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘিরে ফেলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে ছাত্র-জনতার ভয়ে পালাতে একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন রফিকুল। পুলিশ জানতে পেরে রফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে কেশবপুরে ত্রাস সৃষ্টি করতেন জামাল বাহিনী। সেই জামাল বাহিনীর পরিচালনা করতেন সাবেক মেয়র রফিকুল। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ