স্ত্রী–সন্তানের ভরণপোষণে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে শামিকে, আদালতের নির্দেশ
Published: 2nd, July 2025 GMT
ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামিকে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ভরণপোষণ খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৪ লাখ রুপি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। দাম্পত্য নিয়ে বিবাদে শামি ও তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান আলাদা বসবাস করছেন। আদালতে লড়াই চলছে দুজনের। আইনি লড়াই চলাকালে শামিকে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে এ পরিমাণ অর্থ দিতে হবে জানিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই।
আরও পড়ুনসন্দেহজনক প্যাকেট, নিরাপত্তার স্বার্থে পন্ত–রাহুলদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছিল৩ ঘণ্টা আগেকলকাতার আলিপুর আদালত ২০১৮ সালে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শামিকে প্রতি মাসে স্ত্রীর জন্য ৫০ হাজার রুপি এবং কন্যার জন্য অতিরিক্ত আরও ৮০ হাজার রুপি করে দিতে হবে। তখন হাসিন কলকাতার এ নিম্ন আদালতে আরও বেশি অর্থ দাবি করেছিলেন। নিজের জন্য ৭ লাখ রুপি ও কন্যার জন্য ৩ লাখ রুপি চেয়েছিলেন। কিন্তু আলিপুর আদালত দাবিটি খারিজ করে ওই রায় দেন। হাসিন তা মানতে না পেরে কলকাতার উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এরপর কলকাতার হাইকোর্ট থেকে নতুন এই নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিচারক অজয় কুমার মুখার্জি বলেন, হাসিনের ব্যক্তিগত খরচ নির্বাহে দেড় লাখ রুপি এবং কন্যার জন্য আরও আড়াই লাখ রুপি প্রতি মাসে দিতে হবে শামিকে।
আপিলে হাসিনের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়, ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার শামির আর্থিক অবস্থা ভালো এবং প্রতি মাসে ভরণপোষণ হিসেবে তিনি আরও বেশি অর্থ দিতে সক্ষম। ২০২১ অর্থবছরে শামির আয়কর রিটার্নের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ৭.
সবকিছু শোনার পর কলকাতা হাইকোর্ট হাসিনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। বিচারক অজয় মুখার্জির ভাষায়, ‘দুই আবেদনকারীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমার বিবেচনায়, প্রথম আবেদনকারীর (স্ত্রী) জন্য প্রতি মাসে ১,৫০,০০০ রুপি এবং কন্যার জন্য ২,৫০,০০০ রুপি করে প্রদান ন্যায়সংগত হয়।’ আদালত এ কথাও জানিয়েছেন, শামি চাইলে তাঁর কন্যার শিক্ষা এবং অন্যান্য খাতে খরচের জন্য আরও বেশি অর্থও দিতে পারেন।
আলিপুর আদালত কিসের ভিত্তিতে শামিকে প্রতি মাসে খুব অল্প পরিমাণ অর্থ ভরণপোষণ হিসেবে দেওয়ার রায় দিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার হাইকোর্ট। সংশোধিত এ রায়ের আগের রায় সংশোধন করার কথাও বলা হয়। যুক্তি হিসেবে শামির অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং হাসিনের আর বিয়ে না করা ও সন্তান নিয়ে আলাদা থাকার কথা বলা হয়েছে।
ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন শামিউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অভিজ্ঞতায় সৌম্য দলে, মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের ভাবনা
সৌম্য সরকার আবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। এই নিয়ে কতবার তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলো, আর তিনি কতবারই বা এলেন তা হয়তো নিজেও ভুলে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াডে লিটন নেই। অভিজ্ঞতায় সৌম্য এগিয়ে। তাই তাকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এক টেস্ট খেলা মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখছেন নির্বাচকরা। তাকে পর্যায়ক্রমে তৈরি করা হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সৌম্যর যাওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেতে পারেননি ভিসা জটিলতায়। খেলেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে ফাইনাল ম্যাচে চরম বাজে ব্যাটিংয়ে রান করেছেন ২২ বলে ৮। আউটের ধরণ দেখলে তাকে নিয়ে নির্বাচকরা দ্বিতীয়বার ভাবনার কারণ নেই। অথচ তাকেই কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ফেরানো হলো।
আরো পড়ুন:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রশিদের মতো স্পিনার না থাকা স্বস্তিদায়ক: লিপু
অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
কারণ জানাতে গিয়ে গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘‘সাইফ হাসান তার কাজটা করে দিচ্ছে। তাকে আরও আরেকটু বেটার করতে হবে, তার ইনিংসটা লম্বা করতে হবে। তার পাশাপাশি আমরা সেই জায়গাতে আপনারা দেখেছেন সৌম্য সরকারকে ফেরত নিয়ে এসেছি। তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। প্রায় ৮০টার মতো (আসলে ৭৬) ওডিআই খেলে ফেলেছেন। প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছেন এবং গত বছরের শেষে নভেম্বরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তার ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা আছে এবং সেই দলটার সঙ্গে আমরা খেলছি। লিটন দাস যেহেতু নেই দলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সেখানে নিয়ে এসেছি সৌম্য সরকারকে।’’
নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সৌম্য। এরপর এই বছর এক ওয়ানডেতে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হন। এরপর তেমন কোথাও রান পাননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবুও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে নেওয়া হলে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্ট খেলেছেন মাহিদুল। তাকে প্রথমবার নেওয়া হয়েছে ওয়ানডে দলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মাহিদুল খেলেছেন ৯৬ ম্যাচ। ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করেছেন। গড়টাও সুন্দর, ৪৪.৫৩। গত মে মাসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন যথাক্রমে ১০৫ ও অপরাজিত ৪২।
তার থেকে বড় আশা গাজী আশরাফের, ‘‘আমরা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এনেছি। আমরা ২০২৭-এ পরবর্তী বিশ্বকাপটাও ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলবো। সাম্ভাব্য তালিকাটা বৃদ্ধি করার জন্য যারা প্রতিযোগী থাকবে তার মধ্যে মাহিদুলের নাম আসবে। বেশ উজ্জ্বল। তাকে এনে এই ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। ওখানে যারা ব্যাটিং খুব একটা ভালো করতে পারেনি, এক দুজনকে কিছু ম্যাচের জন্য ব্রেক আমরা দিতে পারবো। সেই সুযোগটাও এখানে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে মাহিদুলকে নিয়ে। আমরা আমাদের মূল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে কাউকেই উপেক্ষিত রাখিনি।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল