মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশ যখন জয়ের উৎসবে মেতে ওঠে, তখন জয়ের নায়িকা ঋতুপর্ণা চাকমা ফোন করেছিলেন তাঁর মাকে। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাছড়ি গ্রামে মা বাসুবতি চাকমাও ছিলেন সেই মুহূর্তের অপেক্ষায়। টেলিভিশনের সূত্রে জয়ের খবর ততক্ষণে সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে উল্লাস, চিৎকার। আর এর মধ্যে মেয়ে ঋতুপর্ণার ভিডিও কল, আবেগে থরো থরো হয়ে বলেছিলেন, ‘মা আমরা জিতে গেছি।’

গতকাল বুধবার রাতে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ২-১ গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ফুটবল কাপে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ঋতুপর্ণার দুটি গোলই ছিল দেখার মতো। বিশেষ করে খেলার ৭১ মিনিটে করা দ্বিতীয় গোলটির ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রশংসায় ভাসছেন রাঙামাটির কন্যা ঋতুপর্ণা। আর আনন্দে ভাসছে তাঁর মঘাছড়ি গ্রামও। গতকাল রাত থেকেই উৎসব চলছে সেখানে।

মা বসুবতি চাকমার সঙ্গে ঋতুপর্ণা চাকমা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১৯ গোলের দিনে এক নাইজেরিয়ানের ঝলক

আজকের ফলড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৮: ০ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২ (৩): ২ (২) উত্তরা ইউনিভার্সিটি
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ৫: ২ আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে আজ ছিল গোল–উৎসবের দিন। তিনটি ম্যাচে সব মিলিয়ে জালে বল জড়িয়েছে ১৯ বার! ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের গোল দেখার তৃষ্ণা মিটেছে ষোলো আনা।

দিনটাই শুরু হয়েছিল গোলবন্যায়। প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিককে। এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিল এশিয়া প্যাসিফিক।

বড় জয়ের পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি দেখল টাইব্রেকারের চরম উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৩-২ গোলে হারাল উত্তরা ইউনিভার্সিটিকে। তৃতীয় ম্যাচেও হলো ৭ গোল। শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ৫-২ গোলে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে সহজ জয়।

ড্যাফোডিলের ৮ গোলের উৎসবে একাই ৫টি গোল করেছেন নাইজেরিয়ান শিক্ষার্থী আবু বক্কর ইউনুসার। প্লেসিং শট, নিখুঁত শট, বুদ্ধিদীপ্ত টোকা এবং হেডেও গোল করেছেন তিনি। ২২ বছর বয়সী তরুণ আবু বক্কর কম্পিউটারবিজ্ঞানের ছাত্র। খেলা তৈরিতেও দারুণ অবদান রাখেন। এ বছরই ফেব্রুয়ারিতে বড় ভাই আব্বাস ইউনুসার হাত ধরে ঢাকায় আসেন আবু বক্কর। গত বছর ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ড্যাফোডিলকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে আব্বাসের বড় ভূমিকা ছিল। তবে এবার বয়সের কারণে তিনি খেলতে পারছেন না। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, ২৮ বছরের বেশি বয়স হলে এই প্রতিযোগিতায় খেলা যায় না। তবে মাঠে বসে আব্বাস দেখেছেন ছোট ভাই আবু বক্করের দুর্দান্ত ঝলক।

দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ড্যাফোডিলের আবু বক্কর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান
  • আনন্দে ভরপুর উৎসবে ‘ভালো মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
  • ১৯ গোলের দিনে এক নাইজেরিয়ানের ঝলক