২ / ৮আস্ত শিং মাছ। মাত্রই পানি থেকে তুলে এনেছে। এবার খাওয়ার পালা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে উৎসবের আমেজ, প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন আজ সোমবার। রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন এলাকাজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ—প্রার্থীদের ব্যস্ততা, শিক্ষার্থীদের ভিড়, আর গান ও স্লোগানে মুখর পুরো এলাকা।
সন্ধ্যার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে। কেউ গান গেয়ে, কেউ চরিত্রাভিনয় করে, কেউবা প্রচারপত্র বিলি করে ভোট চান। রাত সাড়ে নয়টার পর শাটল ট্রেন পৌঁছালে স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় জমে যায়। দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেলফি তুলে, হাত মেলাচ্ছেন, স্লোগান দিচ্ছেন—পুরো পরিবেশ এক নির্বাচনী উৎসবে পরিণত হয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘আজ স্টেশনটা যেন উৎসবের মাঠে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই চারদিক থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছে। প্রার্থীরা দৌড়ে দৌড়ে প্রচারপত্র বিলাচ্ছে, গান গাইছে। মনে হচ্ছে, ক্যাম্পাসে মেলা বসেছে।’
ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম সোহাগ বলেন, ‘স্টেশনে সব প্যানেলের প্রার্থীদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। কেউ ভোট চাইছে, কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করছে—এমন পরিবেশ ভালো লাগছে। আশা করি, নির্বাচনের আমেজ সুন্দরভাবে শেষ হবে।’
শারীরিক শিক্ষা ও স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী নিবেদিত নিতু বলেন, ‘দুপুর থেকেই ভিড় ছিল, কিন্তু রাতে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। শাটল ট্রেন আসার পর স্টেশন যেন উৎসবে পরিণত হয়। প্রার্থীরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মন টানতে চেষ্টা করছে।’
চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ শিক্ষার্থীর ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ২৬টি ও হল সংসদের জন্য ১৪টিসহ মোট ৪০টি ভোট দেবেন। প্রতিজনের জন্য গড়ে ১০ মিনিট সময় ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা ৭০০টি বুথের পরিকল্পনা নিয়েছি।’
প্রায় তিন দশক পর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম চাকসু নির্বাচন। একই দিনে হবে হল সংসদ নির্বাচনও। এ পর্যন্ত ১৩টি প্যানেলের মধ্যে ১২টি তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। শুধু ‘সর্বজনীন ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল এখনো ইশতেহার ঘোষণা করেনি।
ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপরই শুরু হবে গণনা।