৪৩তম বিসিএসে পশুসম্পদ ক্যাডারে ৯৬ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ৯৬ জনের মধ্যে ভেটেরিনারি সার্জন/বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/থানা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (মেট্রো)/প্রভাষক পদে ৮২ জন এবং হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা/প্রাণী উৎপাদন কর্মকর্তা/সহকারী হাঁস-মুরগি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা/জু অফিসার পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই প্রার্থীদের ১৫ জানুয়ারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অফিসে গিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে হবে। প্রার্থীদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিশকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে। শিক্ষানবিশকালে যদি কেউ চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।

প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার আগে প্রার্থীকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে যদি শিক্ষানবিশকালে অথবা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাঁকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম/ভ্রমণভাতা/অন্যান্য ভাতাদি ও তাঁর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয়িত সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন।

আরও পড়ুন৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া বেশির ভাগই নিয়োগ পাবেন : জনপ্রশাসন সচিব০৯ জানুয়ারি ২০২৫

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২০–এর ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী প্রার্থীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে। যদি কোনো প্রার্থী বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে থাকেন, তবে এ নিয়োগপত্র বাতিল হবে।

নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা দেখা যাবে এই লিংকে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান সেনা নিহত

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিক্রিয়ায়, বেলুচিস্তানের চামান সীমান্তে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টানা দুদিন পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৩ জন আফগান তালেবান সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ। 

রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দ্য নিউজ দাবি করে, ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বিশ্বস্ত সূত্র।খবর জিও টিভির।

আরো পড়ুন:

গান না গেয়েই কেন চলে যেতে হবে পাকিস্তানি ব্যান্ড কাবিশকে?

নীলুফার: পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন?

শুক্রবার মধ্যরাতে জামান সেক্টরে উত্তেজনা শুরু হয়। অভিযোগ করা হয়, আফগান সেনারা প্রথমে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানি বাহিনীও পাল্টা হামলা শুরু করে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে।

তালেবান সেনারা যেন পাল্টা জবাব দিতে না পারে সেজন্য পরে ভারী অস্ত্র মোতায়েন ও ব্যবহার করা হয়। যারমধ্যে রকেট লঞ্চার, কামান এবং গুলির ভারী অস্ত্র ছিল। এই হামলায় আফগান তালেবান সেনাদের তিনটি সীমান্ত চৌকি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

একটি সূত্র বলেছে, ‘সাধারণ আফগান জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য নির্ভূল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।’

প্রথম হামলার পর আফগান সেনারা জনবহুল এলাকায় চলে যায় বলে দাবি করেছে সূত্রগুলো। এরপর সেখান থেকে তারা আবার গুলি ছোড়ে। এর জবাবে ওই জনবহুল এলাকাতেও ভারীয় অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়।

উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পর, তালেবান বাহিনী যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পাশাপাশি সাদা পতাকা উড়ায়। পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী আফগান তালেবানদের নজরদারির অধীনে হতাহতদের (মৃত এবং আহত উভয় সহ) সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেয়। ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন মিশনে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং একাধিক আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বিদেশী গণমাধ্যমের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি বলেন, চামান সীমান্তে আফগান বাহিনী ‘বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ’ করেছে।

মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “পাকিস্তান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ সতর্ক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আফগান তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেন, কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলায় পাকিস্তানি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তার ডেপুটি হামদুল্লাহ ফিত্রা রয়টার্সকে জানান, পাকিস্তানের গোলাগুলিতে একজন তালেবান সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ