বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনছে সরকার। মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক দুটি স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে চিনি কিনবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

সারা দেশে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে চিনি বিক্রি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এরমধ্যে প্রতি কেজি ১১৫.

২৫ টাকা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ে ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং বাকি ৫ হাজার মেট্রিক টন প্রতি কেজির দাম ১১৭.৯০ টাকা হিসেবে ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাকি চিনি সরবরাহ করবে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।  

টিসিবির ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২টি স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে আরো ১৫ হাজার মেট্রিক চিনি।

স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে একটি দরপত্র পাওয়া যায়। এতে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি কেজি চিনির দর ১১৫.২৫ পয়সা উল্লেখ করে। এতে চিনি ক্রয়ে ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ে সাশ্রয় হবে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চিনি টিসিবি’র গুদাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।

অপর একটি প্রস্তাবে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আরো ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয় করা হবে। এই চিনির দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর দরপত্র উন্মুক্ত করে। এতে একটি দরপত্র পাওয়া যায়। সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দরপত্রে প্রতি কেজি চিনির দাম ১১৭.৯০ টাকা উল্লেখ করে।এতে ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। পৃথক দুটি প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি  ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- ই-জেনারেশন পিএলসি ও এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ই-জেনারেশন: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদী ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। কোম্পানিটির ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত এবং গুণগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

এসকে ট্রিমস: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং পিএলসি। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ-’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’ রেটিং হয়েছে। কোম্পানিটির গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২২ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির আনুসাঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা
  • বেরোবিতে র‌্যাগিংয়ের দায়ে তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • দুই দিন বিদ্যুৎ থাকবে না কালীগঞ্জের ৩ এলাকায় 
  • ৩০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দক্ষিণ থাইল্যান্ডে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি
  • প্রশিক্ষণ কাজের মান বাড়ায়: ভূমি সচিব
  • এক মাস পরও শৃঙ্খলা ফেরেনি, পণ্য পেতে সময় লাগছে বেশি
  • ঋণখেলাপিদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনে দ্বিধা কেন
  • অবশেষে তিতাসের পাইপলাইন মেরামত, নারায়ণগঞ্জে তিন দিন পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক
  • দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • নাগরিক দুর্ভোগ দূর করুন