ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে তীব্র হামলা রাশিয়ার
Published: 15th, January 2025 GMT
ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে রাশিয়া। গতকাল বুধবার কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সাতটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার অস্ত্র তৈরির কারখানায় ইউক্রেনের চালানো সবচেয়ে বড় বিমান হামলার এক দিন পর মস্কো এ পাল্টা হামলা চালাল। এসব কারখানা সীমান্ত এলাকা থেকে কয়েকশ মাইল ভেতরে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, রাশিয়া মঙ্গলবার রাতভর ৪৩টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭৪টি ড্রোন হামলা চালায়। পশ্চিম ইউক্রেনের জ্বালানি সরবরাহের স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলী লাভিভ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। সাতটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্তত দু’জন উপদেষ্টা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ট্রাম্পের দুই সহযোগী রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের রাশিয়া ও ইউক্রেনবিষয়ক দূত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেইথ কেলগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মনে করি, ১০০ দিনের মধ্যে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।
উপদেষ্টা ও দূতের বক্তব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে মিলছে না। ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হয়েই তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সিএমএসএমই ঋণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের কার্ড থেকে নগদ, বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন সুবিধা
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ১২৬ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দফায় ডলার কিনেছিল। এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামে ১৪০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১৩৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ২ সেপ্টেম্বর একই দরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ ব্যাংক থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে, একই দরে গত ১৫ জুলাই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া গত ২৩ জুলাই ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। গত ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং গত ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ