বাংলাদেশের পর পাকিস্তান—দুই দলকেই অনায়াসে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। দুবাইয়ে কাল অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বিরাট কোহলি দলকে জেতালেও বল হাতে বড় অবদান রেখেছেন হার্দিক পান্ডিয়া

প্রথমে বাবর আজমকে ফিরিয়ে ভেঙেছেন পাকিস্তানের উদ্বোধনী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা নিয়েছেন এরপর। শিকার করেছেন সর্বোচ্চ ৬২ রান করা সৌদ শাকিলকে, যা পাকিস্তানকে অল্পতে বেঁধে ফেলতে সাহায্য করেছে।

তবে পান্ডিয়া কাল থেকে আলোচনায় অন্য কারণে। বোলিং করার সময়, বিশেষ উইকেট উদ্‌যাপনের সময় তাঁর হাতে একটি ঘড়ি দেখা যায়, যা অনেকের নজরে এসেছে। নেট দুনিয়ার এ নিয়ে শোরগোলও চলছে। কারণ, ঘড়িটি খুবই দামি এবং দুর্লভ।

ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পান্ডিয়া কাল যে ঘড়ি পরে বল করেছেন, সেটি সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ব্র্যান্ড রিচার মিলের। আরএম ২৭-০২ মডেলের এই ঘড়ির দাম ৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। বিশ্বে এমন ঘড়ি মাত্র ৫০টি আছে।

সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির এই ঘড়ি মূলত টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের জন্য নকশা করা হয়েছিল। এটি বানানো হয়েছে গাড়ির চেসিস দিয়ে। গত বছরের নভেম্বরে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন নাদাল। ক্লে কোর্টের রাজা হওয়ায় তাঁর ঘড়ির ফিতায় শোভা পেয়েছে ‘ক্লে কালার’।

ঘড়িতে কেসব্যান্ড এবং বেসপ্লেট একসঙ্গে জুড়ে তৈরি হয়েছে। এর ফলে দুটি উপাদান আলাদা করে রাখার দরকার হয়নি। বেসপ্লেট তৈরি করা হয়েছে গ্রেড-৫ টাইটেনিয়াম দিয়ে। ঘড়িতে নীলকান্তমণি স্ফটিকের সঙ্গে কার্বন ফাইবারের সংমিশ্রণও আছে।  

কালকের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে ম্যাচটি উপভোগ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গায়িকা ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জেসমিন ওয়ালিয়া। উইকেট পাওয়ার পর পান্ডিয়াকে উদ্দেশ্য করে জেসমিনকে উড়ন্ত চুম্বন দিতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সার্বিয়ান মডেল ও নৃত্যশিল্পী নাতাশা স্তানকোভিচের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এই জেসমিনের সঙ্গে প্রেম করছেন পান্ডিয়া।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ