সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক নির্মাণ কন্ট্রাকটরকে মারধর করে আহত করেছে।

এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন। 

চিকিৎসা শেষে বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাবুল মোল্লা তিন জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পূর্ব সানারপাড়, মৌচাক ওসমান গণি রোড এলাকার মো.

করিম (৪০), মো. আসলাম (৪০) ও মো. জহির (৩২)। 

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আহত বাবুল মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিতে লেবার দ্বারা বিল্ডিংসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করে আসছেন। এর সুবাধে পূর্ব সানারপাড়, মৌচাক ওসমান গণি রোড এলাকার মো. করিম, মো. আসলাম ও মো. জহিরদীর্ঘদিন যাবত চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বাবুল মোল্লাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদানসহ আমার ক্ষয়ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ইফতারের পূর্বে অভিযুক্তরা তাকে মৌচাক ওসমান গণি রোডস্থ হারুন সাহেবের বাড়ীর সামনে তাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে ২০ হাজার পরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাবুল মোল্লা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। 

আহত বাবুল মোল্লা জানান, অভিযুক্তরা উগ্র, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা দীর্ঘদিন যাবত অত্র এলাকার অসহায় মানুষদের জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি তাদের তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃংখলা বাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ