টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’। সম্প্রতি সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়েই কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন রাফা নাঈম। তিনি পেয়েছেন ৩৮৪টি ভোট, যা তাকে নিশ্চিত করেছে বিজয়ের মুকুট।

গত ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৮টায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন রাশেদ মামুন অপু।

আরো পড়ুন:

১৪ বছরে বদলে যাওয়া জোভান

চার বিজয়ীকে ‘প্রিয়জন’র সংবর্ধনা

অন্যান্য নির্বাচিতরা হলেন— সহসভাপতি: মো.

ইকবাল বাবু, আজিজুল হাকিম ও শামস সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক: মাসুদ রানা মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: সুজাত শিমুল ও রাজিব সালেহীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক: সূচনা সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক: আর এ রাহুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মুকুল সিরাজ, অনুষ্ঠান সম্পাদক: এম এ সালাম সুমন,

কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রাফা নাঈম ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছেন: ইমরান হাসো, জুলফিকার চঞ্চল, শিউলি শিলা, শিপন, রেজাউল রাজু ও তুহিন চৌধুরী।

এছাড়াও অর্থ সম্পাদক পদে নুরে আলম নয়ন ও দপ্তর সম্পাদক পদে তানভির মাসুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ২১টি পদের মধ্যে ১৯টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ২টি পদে প্রার্থী ছিলেন একক। মোট ভোটার ছিলেন ৬৯৯ জন।

রাফা নাঈম বলেন, “এই বিজয় আমার জন্য সহজ ছিল না। অভিনয় শিল্পীদের ভালোবাসার কারণেই আমি বিজয়ী হতে পেরেছি। নির্বাচনে অংশ না নিলে বুঝতেই পারতাম না সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন। কাজের মাধ্যমে আমি এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।”

এবারের নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন খায়রুল আলম সবুজ। তাকে সহযোগিতা করেন কমিশনার নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। আপিল বোর্ডের সদস্য ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতারা। তারা হলেন— মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ত হয় ছ হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ